শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ভিনদেশি রূপকথা: কুৎসিত হাঁসের বাচ্চা

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২২ মে ২০২১

আপডেট: ০৬:০০, ৩০ নভেম্বর ১৯৯৯

ভিনদেশি রূপকথা: কুৎসিত হাঁসের বাচ্চা

গ্রীষ্মের একটি সুন্দর দিন। নদীর পাশের একটি পুরনো বাড়ির গায়ে সূর্যের আলো জ্বলজ্বল করছে। বাড়ির পেছনে একটি মা হাঁস দশটি ডিম নিয়ে বসে আছে। টিচিক...টিচিক একে একে ডিমগুলো ভেঙে যাচ্ছে।

একটি বাদে সবগুলি ডিম ভেঙে যায়। রয়ে যাওয়া ডিমটা সবচেয়ে বড়ো। মা হাঁস বড়ো ডিমের উপর বসে। অবশেষে এটিও ভাঙে-টিচিক!

শেষে ফোটা হাঁসের বাচ্চাটি লাফ দেয়। এটি দেখতে বড় এবং শক্তিশালী। এটি ধূসর রঙের ও কুৎসিত! পরের দিন মা হাঁস তার সমস্ত বাচ্চা হাঁসকে নদীতে নিয়ে যায়। মা হাঁস নদীতে লাফ দেয়। তার সমস্ত বাচ্চারাও নদীতে লাফিয়ে পড়ে। তারা সবাই সাঁতার কাটে এবং একসঙ্গে খেলে। কুৎসিত বাচ্চাটি অন্য সব হাঁসের চেয়ে বেশি শক্তিতে সাঁতার কাটছে।

- প্যাঁক প্যাঁক! আমার সঙ্গে ফার্ম ইয়ার্ডে এসো!- বলে মা হাঁস। বাচ্চারা সবাই তাকে অনুসরণ করে।

ফার্ম ইয়ার্ডটি খুব কোলাহলপূর্ণ। কুৎসিৎ হাঁসের বাচ্চাটি সেখানে খুবই অসন্তুষ্ট। মুরগি তার দিকে ফুঁসে আসে, মোরগটি তার দিকে উড়ে যায়; অন্য হাঁসরা তাকে কামড় দেয় আর কৃষক তাকে লাথি দেয়।

শেষে একদিন সে পালিয়ে যায়। সে একটা নদীতে আসে। দেখে অনেক সুন্দর বড় পাখি সেখানে সাঁতার কাটছে। তাদের পালকগুলি এত সাদা, তাদের ঘাড় এত দীর্ঘ, ডানাগুলি এত সুন্দর। ছোট্ট হাঁস ওদের দিকে তাকায়। সে তাদের সঙ্গে থাকতে চায়। সে জানে যে তারা রাজহাঁস। ওহ্! সে কীভাবে তাদের মতো সুন্দর হবে সেই ভাবনায় ডুবে যায়।

শীতকাল চলে এসেছে। সাদা বরফ দিয়ে সবকিছু ঢাকা। বরফ দিয়ে ঢাকা নদী। কুৎসিত হাঁস এই শীতল দিন খুব অপছন্দ করে। এভাবেই দিন যায়।  

এবার বসন্ত আসে। সূর্য উষ্ণতা নিয়ে জ্বলজ্বল করে। চারদিক তাজা ও সবুজ। এক সকালে কুৎসিত হাঁস আবার সুন্দর রাজহাঁস দেখতে পায়। সে তাদের জানায়, নদীতে তাদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে চায়। ওদের সম্মতিতে সে ছুটে যায় নদীতে। জলের দিকে তাকায়। নিজেকে দেখতে পায় কুৎসিত হাঁস। আরে! এ যে একটি সুন্দর হাঁস। এ তো সে! সে আর কুৎসিত হাঁস নয়। তাকে দেখতে একটি সুন্দর সাদা রাজহাঁসের মতোই লাগছে!

নারায়ণগঞ্জ পোস্ট