শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৪ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী শিক্ষা সফর মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী শিক্ষা সফর মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিক্ষা সফর

মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গভর্নিংবডি সদস্য নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা সফরে জাতির পিতার জন্মের পূণ্যভূমি টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষা সফরে গিয়ে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আসতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গভর্নিংবডি নেতৃবৃন্দরা। তারা বলেন, এর আগে কোনো এভাবে এতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে নিয়ে শিক্ষা সফরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসেননি।

নানা কৌতূহল নিয়ে সমাধিস্থলের আশপাশে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক হিজলতলা ঘাট, বঙ্গবন্ধুর বাল্যকালের খেলার মাঠ, পুরনো বাড়ি, শেখ পরিবারের ঐতিহ্যবাহী বড় তালাব ও জাদুঘর দেখেন।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শিক্ষা সফরে এসে মর্গ্যান গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী সালমা আক্তার বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে। আমাদের এলাকার সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সবাই এসেছে। সবাইকে এমন সুযোগ করে দিয়েছেন মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। ধন্যবাদ স্যারকে। এমন আয়োজন দেশের সকল স্কুল ও কলেজে করা দরকার। এতদিন আমরা যা বইতে পড়েছি, আজ তা নিজ চোখে দেখলাম। আজ আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সবার জন্য আমরা দোয়া করেছি।

মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী জাহানারা হোসাইন বলেন, এমন সুযোগ আগে কখনও পাইনি। আমার খুবই ভালো লাগছে। সবসময় ভাবতাম কবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে যাব। আজ স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তার মধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ী আসতে পেরে, আমরা অনেক খুশি। বঙ্গবন্ধুর পুরনো বাড়ি, পুকুর, হিজলতলা ঘাট, জাদুঘর ঘুরে দেখলাম। যা আমার জন্য অন্যরকম অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি হয়ে থাকবে।

মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ আয়োজনের জন্য প্রথমে আমি মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডি কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এ শিক্ষা সফরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী একত্রিত হয়েছে। যা একটি ব্যতিক্রম শিক্ষা সফর। এ শিক্ষা সফরে সব মিলিয়ে এক দারুণ অনুভূতি তৈরি হয়েছে।  বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা খুবই খুশি, যা বলে বোঝানো যাবে না।

মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডি কমিটির দাতা সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব বলেন, ব্যতিক্রমভাবে আমরা এ আয়োজন করেছি। যাতে কারো কোনো সমস্যা না হয়। যারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসেছেন, সবাই আগ্রহের সাথে পুরো এলাকা ঘুরে দেখছে। বঙ্গবন্ধুর নানা বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছে। গভর্নিংবডি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবাদ। এমন একটি আয়োজন করার জন্য। আজ সমাধিসৌধ মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডি কমিটির চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অনেক কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। ধন্যবাদ জানাই আজকে এই আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়োজন সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। এ জন্য আমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই। এ ছাড়াও গভর্নিং বডি কমিটি, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকেও ধন্যবাদ জানাই, তারা এতদূরে এই যাত্রায় আমার সাথে সামিল হয়েছেন।

এই শিক্ষা সফরের মাধ্যমে নতুুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে জানবে, বাংলাদেশের ইতিহাস জানবে এমন মন্তব্য করে আনোয়ার হোসেন বলেন, এটাই আমার প্রত্যাশা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে যে মন্তব্য বহি আছে তাতে আমি লিখে এসেছি, যারা এবার যেতে পারেনি, তাদেরকে নিয়ে আবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে যাবার ইচ্ছা আছে।

এই শিক্ষা সফর নিয়ে সকলের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রবন্ধ জমা দেয়া জন্য নিদের্শ দেয়া হলো। এর মধ্যে তিনজনের পুরস্কৃত করার ঘোষনা দেন আনোয়ার হোসেন।

শিক্ষা সফরে উপস্থিত ছিলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডি কমিটির অভিভাবক সদস্য হুমায়ূণ কবির, জানে আলম জানু প্রমুখ।