শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বেড়েছে চাল-ডাল-সবজির দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:১৩, ৪ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ২১:১৪, ৪ নভেম্বর ২০২২

বেড়েছে চাল-ডাল-সবজির দাম

দিগুবাবুর বাজার

নারায়ণগঞ্জের বাজারে দাম বেড়েছে চাল, ডাল, আটা ও সবজির। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে শহরের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।  

বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। কেজিতে ১০-২০ টাকা দাম বেড়েছে। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৯০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৭০ টাকা কেজি।  

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।  

সবজি বিক্রেতা মো. আলআমিন বলেন,  বাজারে সবজির সরবরাহ কম। সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমে যাবে।  

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।  বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০-৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১০৫-১১০ টাকা আর প্যাকেট চিনি কেজি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে বেড়েছে আটার দাম। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

আটা বিক্রেতা নাদিম বলেন, হঠাৎ করেই বাড়লো আটার দাম। আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।  

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের দাম বেড়েছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মসুরের ডালের কেজি ছিল ১৪০ টাকা ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ টাকায়। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকায়।  

এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা।  

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।  

বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে চিকন ও মোটা চালের দাম। ২৮ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। আগে কেজি ছিল ৬৩ টাকা। বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৩-৮৫ টাকায়।  

চাল বিক্রেতা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। এছাড়াও ২৮ চালের বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। হঠাৎ করেই বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। আসলে বাজারে সঠিক নজরদারি নেই। নজরদারি থাকলে এভাবে যে কোনো পণ্যের দাম বাড়তে পারে না।