
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি, এলসি খোলার জটিলতা ও করপোরেট কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের কারণে ভোগ্যপণ্যটির দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফাটি মসুর ডাল, চোনাবুট ও অ্যাঙ্করসহ অন্যান্য ডালের দাম বেড়েছে। মসুর ডাল আস্তার (বোল্ডার) দাম কিছুদিন আগেও ছিল কেজিপ্রতি ৯৯ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১০১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফাটি মসুর ডালের দাম ছিল ১০১-১০২ টাকা। বর্তমানে এটি ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেসারি ডালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়েছে। কিছুদিন আগেও এর দাম ছিল কেজিতে ৮৬-৮৭ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ৯০ টাকায় পৌঁছেছে। চোনাবুটের দাম কেজিতে ৭ টাকা বেড়েছে। কিছুদিন আগেও যার দাম ছিল ৯৭-৯৮ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অ্যাঙ্কর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে কেজিতে ৭০ টাকায়। একমাস আগেও যার দাম ছিল ৬৭ টাকা। এ হিসেবে অ্যাঙ্কর ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা।
অন্যদিকে এ বাজারে ডাবলি ডালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি বেচাকেনা হচ্ছে ৬৭ টাকা দরে। দুই মাস ধরে এটি এ দামেই বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য ডালের দাম বাড়লেও বাজারে মুগ ডালের দাম কমেছে। একদিন আগে এটি কেজিপ্রতি ১৪০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। বর্তমানে ১৩০ টাকায় নেমেছে।
এদিকে ডালের দাম বাড়ার জন্য করপোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। নারায়ণগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী উত্তম সাহা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে ডাল ব্যবসায়ীরা বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো থেকে ডাল কিনে এনে ব্যবসা করেন। করপোরেট মিলগুলো বিদেশ থেকে ডাল আমদানি করে নিজস্ব মিলে ভাঙে। এর সঙ্গে যোগ হয় গাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ। আমরা এসব মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করে মফস্বলে পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে দাম কমানো বা বাড়ানোয় আমাদের কোনো হাত থাকে না।’
আরেক ডাল ব্যবসায়ী সনদকুমার রায় বলেন, ‘ডালের বাজার মূলত বড় কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। নিতাইগঞ্জে যেসব মিল ছিল, সেগুলোর বেশির ভাগই এখন বন্ধ। সে কারণে সবাই এখন বড় মিল থেকে ডাল ক্রয় করে বেচাকেনা করে থাকি। ফলে আমাদের এখানে দাম বাড়ানো কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’