ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ দেওভোগের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: ওয়াজেদ আলম সীমান্ত হত্যার চার্জশীট গ্রহন করেছে আদালত।
বুধবার ১৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ শামীম আজাদের আদালতে আলোচিত সীমান্ত হত্যা মামলার আসামী গণের বিরুদ্ধে চার্জ গ্রহণ করে। এ সময় আসামিদের বিরুদ্ধে আগামী বছর ৮ জানুয়ারি সাক্ষীর জন্য ধার্য্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকিরের সাথে ছিলেন না.গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার প্রধান, এডভোকেট নাজিবুল্লাহ বিটু, এডঃ গাউস মোগ্রম্মদ বিটু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছর ১২ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউন্টার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সীমান্ত কলেজে যাবার পথে নগরের দেওভোগ এলাকায় মগ্যার্ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীরা সীমান্তকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর গত ১৪ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্ত মারা যায়।
সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ছিনতাইকারী অনিক ও আকাশ গত বছর ১৯ ডিসেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বীকারোক্তিতে অনিক বলেছে গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে নগরের দেওভোগ মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল মো. অনিক, আকাশসহ ৩ জন। ওই সময় কলেজে যাবার জন্য ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থী ওয়াজেদ আলম সীমান্ত। ৩ ছিনতাইকারী সীমান্তের ব্যাগ ও মোবাইল ফোনের জন্য তার পথরোধ করেন। সীমান্ত তাতে বাধা দিলে অনিকসহ ৩ ছিনতাইকারী তাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। জবানবন্দিতে একই ধরণের বক্তব্য দিয়েছে আকাশ।

