
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বাজারে এ দরেই তালিকা ঝোলানো দেখা গেছে। দুইদিন আগেও এ তালিকা ঝোলানো ছিল না।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে শুরু রোজা। সেই উপলক্ষে মাংসের দাম আগেই বাড়িয়ে বিক্রি করছেন কসাইরা।
তারপরও ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। কারণ, রোজার আগে মাংসের চাহিদা বাড়ে, সুযোগ বুঝে দাম বৃদ্ধি করে পকেট মোটা করে অসৎ ব্যবসায়ীরা।
শুধু গরুই নয়; মুরগির দামও বেড়েছে। রোজার আগের দিন সরেজমিনে মিলেছে এ চিত্র।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
মাংস বিক্রেতা রসুল হোসেন বলেন, দাম বাড়েনাই। আগের দামেই মাংস বিক্রি করছি, লন লন। ভালো মাংস। যারা ভেজাল বিক্রি করব তারা কম দামে বিক্রি করতে পারব। আমরা সেইটা করি না। ভালো মাংসের দাম একটু বেশি, দেইখা লন।
ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, দাম বাড়াতে বাড়াতে আকাশে ঠেকিয়ে এখন বক্তব্য হলো দাম বাড়েনি। বৃদ্ধি করার আর জায়গা নেই। ক্রেতারা তো অসহায়; মাংস কিনতে হলে বেশি দামে কিনে চুপচাপ চলে যেতে হবে।
রোজার একদিন আগে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির ২৮০ থেকে বাজার ভেদে ৩০০ টাকা। সোনালী মুরগির ধরন ভেদে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা। লেয়ার মুরগি ৩৬০ টাকা। দেশি মুরগি ৬০০ টাকার উপরে।
দাম বাড়লেও ক্রেতার ভিড়ই দেখা গেছে মুরগির দোকানে। রোজায় সাহরিতে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা তো মেটাতেই হবে। তাই বেশি দামেই মুরগি কিনছেন ক্রেতারা।