বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

|

অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বন্দরে ছিনতাইচক্রের ভয়ংকর ফাঁদ!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

বন্দরে ছিনতাইচক্রের ভয়ংকর ফাঁদ!

ফাইল ছবি

বন্দরের মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের হাজীপুর এলাকায় চোর ও ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পরিণত হয়ে উঠেছে ভয়ংকর ছিনতাই ফাঁদ-এ। এক শ্রেণীর পেশাদার চোর ও ছিনতাইকারীরা প্রতিদিন সংঘবদ্ধভাবে এসব চুরি ও ছিনতাই কাজ চালিয়ে আসছে। এসব দৃশ্য ওই সড়কে চলাচল করা সাধারণ মানুষের কাছে নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার হলেও প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার সুযোগে চোর ও ছিনতাইকারী চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই তারা ওই সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন কোম্পানীর কন্টেইনার,কভার্ডভ্যান ও ট্রাকসহ সব ধরণের পরিবহণ থেকে মূল্যবান মালামাল ও পণ্য সরিয়ে নিচ্ছে। ট্রাক থেকে চাউলের বস্তা চুরি করার এমনই একটি দৃশ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সড়কে চলাচল করা জনৈক অটোচালক জানান,এই রাস্তায় সব সময় ছিনতাইকারীরা ওৎ পেতে থাকে। বিশেষ করে রাস্তার পাশে ওরা দলবেধে প্রস্তুত থাকে সুযোগ বুঝে কখনো বিভিন্ন কোম্পানীর চলন্ত লোড গাড়ি থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এসব মালামাল নিতে ওদের সময় লাগে ২ থেকে ৩মিনিট। এই চক্রটি কেবল চলন্ত পরিবহণ থেকেই মালামাল চুরি করে না ওই রাস্তায় চলাচল করা বিভিন্ন অটো,মিশুক ও সিএনজি যাত্রীদেরকেও অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা,মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ারও ঘটনা ঘটছে অহরহ। ভয়ংকর এই ছিনতাই চক্রটির কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। 

ঢাকার মালিবাগ থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী রিপন মিয়া জানান,আমরা এখানে আমাদের এক আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি সকালে গাড়ি থেকে নামতেই চিনতাইকারীরা আমাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার মোবাইল পকেটে থাকা নগদ ৩০হাজার টাকা,আমার ওয়াইফের হাতের চুড়ি, কানের দুল এমনকি নাকফুলটাও তারা নিয়ে যায়। জনবহুল এড়িয়ায় তারা প্রকাশ্যে ছিনতাই করে এখানে কি প্রশাসনের তৎপরতা নেই? ওই রাস্তায় চলাচল করা পথচারী যাত্রী সাধারণদের অনেকেই ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,প্রশাসনের অদক্ষতার কারণে বন্দরের বিভিন্ন অঞ্চলের অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হাজীপুরের এসব ছিনতাই ঘটনাগুলোই তার উদাহারণ। তারা আরো জানান,চোর ও ছিনতাইকারী চক্রটি সাধারণতঃ ফরাজীকান্দার হাজী কাজীম উদ্দিনের নির্মাণাধীন মিল থেকে শুরু কে দেলোয়ার হোসেনের পেট্রোল পাম্পের সামনে এবং হাজীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এড়িয়াতেই এসব অপকর্ম করে থাকে। এক সময় এই জোনটিতে রাতের বেলা পুলিশী টহল ও তৎপরতা জোরদার থাকলেও ইদানীং তা আর দেখা যায় না যে কারণে ভয়ংকর চক্রটি একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছে। সচেতন মহলের দাবি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে অনতিবিলম্বে হাজীপুর জোনটিতে পুলিশী তৎপরতা জোরদার অন্যথায় একটি স্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করা হোক।