শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

|

শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শুক্রবার দর্শনার্থীদের ভিড় সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প মেলায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শুক্রবার দর্শনার্থীদের ভিড় সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প মেলায়

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে ছুটির দিনে সোনারগাঁ যাদুঘরে লোককারু শিল্প মেলায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সোনারগাঁ যাদুঘর ও লোককারু মেলায় ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

সকাল থেকেই মেলায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম ছিল। নারায়ণগঞ্জসহ আশেপাশের জেলা থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় বেড়াতে এসেছেন অনেকেই।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থীদেট ভীড় বেশি। তাদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।

দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনে আয়োজিত মাসব্যাপী এ লোক কারুশিল্প মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী, লোকজীবন প্রদর্শন, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বাহারী পণ্য সামগ্রীর প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিলুপ্ত প্রায় গ্রামীণ খেলা, কর্মরত কারুশিল্পীর কারু পন্যের প্রদর্শনীসহ নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মেলা চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ফাউন্ডেশন সূত্র জানান, এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ ১০০টি স্টাল বরাদ্ধ  দেওয়া হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রথিতদশা ৬৪ জন কারুশিল্পী সক্রিয়ভাবে মেলায় অংশ নিয়েছেন।

এ বছর মৌলভীবাজার ও ঝালকাঠীর শীতল পাটি, মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মাটির পুতুল, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁ, টাঙ্গাইল ও ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশ বেতের কারুশিল্প, ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কাঠের চিত্রিত হাতি- ঘোড়া পুতুল, বন্দরের রিকশা পেইটিং, কুমিল্লার তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্প, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, বগুড়ার লোকজ খেলনা ও কুমিল্লার  লোকজ বাদ্যযন্ত্রের শিল্পীসহ ১৭ জেলার কারুশিল্পীগণ মেলায় অংশ নিয়েছেন। এবারও মেলায় বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে কারুশিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ১৫টি স্টল প্রদান করা হয়েছে। মাসব্যাপী লোকজ উৎসব প্রতিদিনের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান লোকজ মঞ্চে বাউলগান, পালাগান, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালীগান, জারি-সারিগান, হাছন রাজারগান, শাহ আব্দুল করিমের গান, লালন সঙ্গীত, ক্ষুদ্র- নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ নৃত্যনাট্য, গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, মুড়ি ওড়ানো, চর্যাগান, লোকগল্প বলা ইত্যাদি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।