
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানসহ ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন - বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, বিএনপি ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের মধ্যে জেলা ও মহানগরের মো. আব্দুস সাত্তার, মো. মজিবুর রহমান, রঞ্জন কুমার দেবনাথ, রাজিব, মো. জনি , মো. বাদল, মো. আবুল কালামn ভূঁইয়া, রিমন, ইমন, মো. সোহাগ, সায়েদ আহম্মেদ, মাসুদ রানা, আমিনুল ইসলাম মিঠু, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, সাইফুল ইসলাম বিপব, শরিফ হোসেন মানিক, নয়ন, রুবেল, সোহেল, মন্টু মেম্বার, জুয়েল আরমান, মুরাদ হাসান, স্বপন চৌধুরী, একরামুল কবির মামুন, আনিছ, জামাল কাজী, মো. সালু ওরফে বেল্ট সালু, ইকবাল ওরফে খেপা ইকবাল, রতন, সোহান, জাহাঙ্গীর, আরিফ, ওমর আলী, রাজ্জাক, সালাহউদ্দিন, রাজু আহম্মেদ রমজান, মোস্তফা কামাল, জুয়েল রানা, আকবর, আবুল হোসেন, হাসান আহম্মেদ, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, রফিকুল ইসলাম, জাকির, রাসেল ওরফে ভাগিনা রাসেল, মাহমুদ হোসেন কাজল, কানা আক্তার, আবুল সর্দ্দার, সাজু, লিংরাজ খান, লিংকন খান, সনেট, জিয়া উদ্দিন জিয়া, রয়েল, মো. ফয়জুল্লাহ সজল, মোঃ রশিদ, মুছা, ফারুক, রুবেল, শফিকুল।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুর, কাজে বাধার অভিযোগে এনে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বাকিদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ মোহসেনের আদালত তা না মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠান। আগামী রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এরা হলেন - ফতুল্লার পূর্ব নরসিংহপুরের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুস সাত্তার (২২), আলীরটেকের ডিক্রিরচরের মোস্তফা সরদারের ছেলে মজিবুর রহমান (৫২), শহরের পালপাড়ার যুগেস চদ্র দেবনাথের ছেলে রঞ্জন কুমার দেবনাথ (৩৬), রূপগঞ্জের সিংলাবোর মৃত হারুন আর রশিদের ছেলে রাজীব (৩৮), সোনারগাঁওয়ের মেঘনা ঘাটের আলী আক্কাসের ছেলে জনি (৩৮), বন্দরের উত্তর চানপুর মাদ্রাসার সাথের মৃত আমান উল্লাহের ছেলে বাদল (৩৩), আড়াইহাজারের রামচন্দ্রাদীর মৃত রমিজ উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে আবুল কালাম ভুইয়া (৪৮), সোনারগাঁওয়ের মেঘনা ঘাটের মৃত আলী মোস্তফা খানের ছেলে রিমন (২২), একই এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে ইমন (১৮), আড়াইহাজারের ময়নাবাজ এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে সোহান (১৫)।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ জনকে আদালতে পাঠানো আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ড শুনানি রোববার অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শাওনের ভাই মিলন প্রধান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানেও অজ্ঞাত ৫ হাজার নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়।