ফাইল ছবি
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন। স্বাধীনতার ঘোষক তিনি, কিন্তু আ:লীগের বন্ধুরা এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে তারা অস্বীকার করে। জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রায় আরও ৪০-৫০ কিলোমিটার দূরের ক্যান্টরমেন্টে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন সেখানকার যিনি জিওসি ছিলেন পাকিস্তানি মেজর জেনারেল জানজুয়া কে নিরস্ত্র ও গ্রেপ্তার করলেন এবং তাদের যত আর্মি ও সদস্য ছিলেন সবাইকে গ্রেপ্তার করে যুদ্ধ করেন, এ কাজ তখন কে করেছিলেন ওবায়দুল কাদের? তোফায়েল আহমেদ? আমির হোসেন আমু? শেখ মুজিবুর রহমান নাকি শেখ হাসিনা? কেউ না। উনারা যেহেতু করেন নাই করেছেন জিয়াউর রহমান। এটা কি জিয়াউর রহমানের অপরাধ? জিয়াউর রহমান ক্যান্টেনমেন্টে তখনকার একজন উপ বিভাগীয় থাকা অবস্থা একজন অধিনায়ককে গ্রেপ্তার করলেন, নিরস্ত্র করলেন পরে কি করলেন সেটা আমি আর বলতে চাই না।
বৃহস্পতিবার সকালে (নাসিক) ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও তবারক বিতরণের আয়োজনে এমন বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান তার সঙ্গীয় বাহিনী নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে আমাদের যেসকল সৈনিক ভাইয়েরা ছিলো তাদেরকে সাথে নিয়ে তিনি নিজে জীপগাড়ি চালিয়ে বেতার কেন্দ্রে গেলেন। সেসময় সেখানে কয়েকজন পাকিস্তানি আর্মি গার্ডে ছিলো তাদেরও গ্রেপ্তার করেছিলেন তিনি।অথচ এখন বলা হচ্ছে উনি নাকি কিছুই করেনি, উনি রাজাকার। ওরা (আ:লীগ) চায় না বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র থাকুক। কারণ আমাদের দেশ স্বাধীন হতে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে, ২ লাখ মা-বোন ইজ্জত হারালেন এই যে এতো ত্যাগ এ ত্যাগের একটাই কারণ ছিলো এদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করবে। বুক ফুলিয়ে বাঁচবে। এদেশের পতাকা থাকবে, ভূখন্ড, মানচিত্র থাকবে এবং আমরা সারাবিশ্বে গিয়ে বলতে পারবো আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।
মামুন মাহমুদ বলে, আজলে যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা পশ্চিম পাকিস্তানিদের চেয়েও ভয়াবহ। বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ তারা লুটপাট করেছে। সমস্ত ব্যাংক বিমা এমনকি বাংলাদেশ ব্যাক থেকেও তারা টাকা সরিয়ে ফেলেছেন। দিনের আলোর মতো সত্য বাংলাদেশ ব্যাক থেকে তারা ৮ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংকগুলো ছিলো ইসলামি ব্যাংক। সেগুলোকে তারা দূর্বল বানিয়ে ফেলেছে।
সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ তার পরিবারের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ করে রেখেছেন। তার মেয়ে স্ত্রীসহ পরিবারের সকলকে জমির পাহাড় দিয়েছেন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এটা আমাদের জন্য অতি লজ্জার। কারণ তিনি একটি বাহিনীর প্রধান ছিলেন।