ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিগত সময়ে রাজপথে নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ কায়সার রিফাতের নেতৃত্বে কৃষকদলের নবজাগরণ দেখা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে রাজপথে রিফাতের নেতৃত্বে কৃষকদল ছিল অপ্রতিরোধ্য।
২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের দায়িত্ব পান রিফাত। তবে এর আগে থেকেই নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলেন রিফাত। নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে কর্মী বাহিনী রয়েছে রিফাতের। ২০২২ সালে বিএনপির নেতৃত্বে সরকার বিরোধী আন্দোলন পুনরায় দানা বাঁধতে শুরু করলে নারায়ণগঞ্জে দলকে সংগঠিত করতে শুরু করেন রিফাত।
২০২২ সালজুড়ে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ গুলোতে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হতে দেখা গেছে রিফাতকে। এসময় জেলা বিএনপির পাশে থেকে আন্দোলনকে সংগঠিত করতে পুরো জেলা দাপিয়ে বেড়ান রিফাত ও তার অনুসারীরা।
২০২২ সালে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ৯ ডিসেম্বর থেকেই নয়াপল্টনের দখল নিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে পল্টনের আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেন রিফাত। পুলিশের সাথে নয়াপল্টনে বিএনপির সংঘর্ষ বাধলে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রিফাত। পরে রাজধানীর গোপীবাগে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হলে রাতেই শত শত নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে অবস্থান নেন রিফাত।
২০২৩ সালে জেলা কৃষকদলের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই জেলাজুড়ে কৃষকদলকে সংগঠিত করে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলেন রিফাত। সেসময় ঢাকা কেন্দ্রীক আন্দোলন শুরু হলে ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ সাইনবোর্ডের দায়িত্ব পড়ে জেলা বিএনপির ওপর। ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সেসময় বেশকয়েকটি মামলায় আসামি করা হয় রিফাতকে।
২০২৩ সালের ১৯ আগষ্ট পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুনরায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সেসময় সোনারগাঁয়েও কয়েকটি মামলায় আসামি করা হয় রিফাতকে।
আত্মগোপনে থেকেও বছরজুড়েই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রিফাত। ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় বিএনপি মহাসমাবেশ ডাকে। সেই সমাবেশ সফল করতেও রিফাতের নেতৃত্বে কৃষকদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেন রিফাত।
২৮ অক্টোবরের পরবর্তী সময়ে হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসূচিগুলোতে রিফাতের নেতৃত্বে কৃষকদল সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সাইনবোর্ড ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় সেসময় হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত মিছিল পিকেটিং করতে দেখা গেছে রিফাতকে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে মামলায় জর্জরিত হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে রিফাতকে। সেসময়ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়ে তাদের পাশে ছিলেন রিফাত। নেতাকর্মীদের জামিন ও আইনি সহায়তা প্রদানসহ তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রেখেছেন রিফাত।