ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, খুনি হাসিনার শাসনামলে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের দোসর ছিলেন বন্দরের আতাউর রহমান মুকুল। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় বন্দরবাসীর উপর শোষণ আর নির্যাতন চালিয়েছেন মুকুল অপরদিকে নিজে আঙ্গুল ফুলের কলা গাছ হয়েছেন। এখনো সেই স্বৈরাচারী ওসমান পরিবারের সাথে তার সখ্যতা রয়ে গেছে। ওসমান পরিবারের নির্দেশেই বন্দরের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছেন মুকুল আর এ উদ্দেশ্যেই মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে।
সাখাওয়াত বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বন্দরে লুটপাট আর চাঁদাবাজি চালিয়েছেন আতাউর রহমান মুকুল। বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করিয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বন্দরে জনসভা করতে আসতে চাইলে শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনী খান মাসুদ, হান্নান সরকার, সুলতানদের সাথে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় আগুন জ্বেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিলো মুকুলের নেতৃত্বে। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে সমাবেশে আসতে বাঁধা দেয়া হয়েছিলো। নির্বাচনের দিন বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে এই মুকুল ও তার বাহিনী।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দালালি করার অপরাধে মুকুলকে ইতিমধ্যেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সারা জীবন ওসমান পরিবারের পা চেটে এখন ভাতিজা কাউসারকে নিয়ে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে মুকুল। বিএনপি'র নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু করেছে দখল আর লুটপাট চাঁদাবাজি। বিএনপিকে বদনাম করতে ওসমান পরিবারের প্রেসক্রিপশনে সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। মহানগর বিএনপি এই দখল আর লুটপাট চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় মুকুল আর কাউসার মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই জঘন্যতম হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।