
মহাসড়ক অবরোধ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যার বিচারের দাবী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ বিক্ষোভ করে। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকা থেকে বাহির পথে প্রায় ৪৫ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
এসময় জনি হত্যার মূল কারণ উদঘাটন, নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবী জানান তারা। পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বজলুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুর আলম ও সেকেন্ড অফিসার মাহবুব হাসানকে প্রত্যাহারের দাবী জানান জনির স্ত্রী মোনালিসা কানন ইবা ।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) শাহীনুর আলম জানান, চুরির ও মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যাকান্ডটি হয়েছে। বাদীও তে জানতো না কারা হত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে একজন সিকিউরিটি গার্ড উপস্থিত ছিল। তার জবানবন্দিতেই আসামিদের ধরা হয়েছে। তিনি সাতজনের নাম বলেছিলেন তাদেরই আসামি করা হয়েছিল। সেসময় বাদীও জানতো না কে বা কারা হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। এঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। থানার আইও কে সাগর নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তারে তারা চাপ দিয়েছিল। সে পালিয়ে গেছে তাই তারা আইওর ওপর নাখোশ। এ নিয়ে একটি তৃতীয় পক্ষ এখানে কাজ করছে ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, বাদীর সমস্যা থাকলে আমার কাছে আসবে। আইওর ব্যাপারে বলবে। সে একদিনও আসেনি।
স্ত্রী মোনালিসা কানন ইবা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাবা শুকুর আলী, শাশুড়ী মমতাজ বেগম, মা মাজেদা বেগম, বোন সুমাইয়া আক্তার, বড় ভাই জুয়েল ও ছোট ভাই ফাহিমসহ স্থানীয় দুই শতাধিক এলাকাবাসী।
উল্লেখ যে, নিখোঁজের তিনদিন পর গত ১৯ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন ত্বাকওয়া টাওয়ারের লিফটের গর্ত থেকে নিহত জনির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাতজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।