
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে থানার ভেতরে চাঁদা দাবি এবং না দেওয়ায় হত্যার হুমকি ও সাইনবোর্ড ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে তারাবো পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব খাঁন ও তারাবো পৌর যুবদলের আহবায়ক আফজাল কবিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোবেল ভূঁইয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (সিআর মামলা নং ৪৭৭/২০২৫) ।উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২১ জুন তারাবো পৌরসভার কান্দাপাড়া এলাকার মতিউর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে রোবেল ভুইয়া উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাবো মৌজার আরএস ৪৩৮ দাগে ৩৮ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ জমির মালিক শংকর চন্দ্র বিশ্বাসের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি করে কিনে ভোগদখলে রয়েছেন। তারাব পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব খাঁন, তার ছেলে সিয়াম খান এবং তারাব পৌর যুবদলের আহবায়ক আফজাল কবির জমিটি অবৈধভাবে দাবি করে রোবেল ভূঁইয়ার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় মাহবুব খাঁন ও আফজাল কবিরের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রোবেল ভুইয়ার জমিতে প্রবেশ করে সাইনবোর্ড উঠিয়ে ফেলে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় তারা বাঁধা দিতে গেলে মাহবুব ও আফজাল কবির তার তাদের লোকজন রোবেল ভুঁইয়াকে হত্যা করবে হুমকি ধামকি প্রদান করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর রোবেল ভূঁইয়া বাদী হয়ে মাহবুব খাঁন, ছেলে সিয়াম ও আফজাল কবিরকে অভিযুক্ত করে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরে রূপগঞ্জ থানায় বাদী ও অভিযুক্তদের নিয়ে রূপগঞ্জ থানায় বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। এসময় মাহবুব খাঁন, তার ছেলে সিয়াম খান ও আফজার কবির থানার ভেতরেই রোবেল ভূইয়ার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে তাদেরকে জমিতে যেতে দিবে না বলে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে ভোক্তভোগী রোবেল ভূঁইয়া বাদী হয়ে মাহবুব খাঁন, তার ছেলে সিয়াম খান ও যুবদল নেতা আফজাল কবিরকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়ের পরও আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব খান ও যুবদল নেতা আফজাল কবির মামলা তুলে নিতে রোবেল ভূঁইয়াকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে তারাবো পৌর যুব দলের আহ্বায়ক আফজাল কবীর বলেন, জমিটির মালিক মাহবুব খান। তিনি বৈধ মালিক হিসেবে ভোগদখলে রয়েছেন। রোবেল ভূঁইয়া জমিটি দাবি করলে শালিশ হিসেবে আমাকে রাখা হয়। কাগজে পত্রে মাহবুব খান জমিটির মালিক হিসেবে প্রমাণ হয়। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে মাহবুব খান ও তার ছেলে সিয়ামের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য রূপগঞ্জ থানাকে দায়িত্ব দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।