
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ বাড়ায় বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। বাজারে শীতকালীন সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু আগের দামে বিক্রি হলেও পেঁয়াজের কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দোকানগুলোতে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে ঝিঙা, করলা, বরবটি, বেগুন, কচুর লতি, পটল, চিচিঙা কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, দেশি শসা ৬০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন তরকারি বিক্রেতা রফিক। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে যে সবজি ১০০ বা ১২০ টাকায় বিক্রি করেছি আজ সেটা ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে দাম আরও কিছুটা কমে আসবে।
এসব বাজারে শীতকালীন সবজি শিম ২০০ টাকা কেজি, টমেটো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট আকারের ফুলকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কমতির দিকে থাকলেও সবজির দাম এখনো নাগালে না আসায় ক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, দুই-চারটি বাদ দিলে বেশিরভাগ সবজি ৬০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না। এই সময় শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছেন না তারা।
বাজার করতে আসা টেইলারিং ব্যবসায়ী কামাল খাঁ ওয়াসিম বলেন, গত সপ্তাহে শিম ১৬০ টাকা দরে কিনলাম, আজ ২০০ টাকা বলছে। সরবরাহ ভালো থাকলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে ক্রেতারা অসহায়।
এসব বাজারে লাল শাক ২৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৫০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক ২ আঁটি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে সোনালি কক মুরগি ৩১০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ভারতীয় ১৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।