
ফাইল ছবি
বন্দরে মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ রিয়াদ হোসেন নামে জনৈক ভুক্তভোগী। ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে এক জনাকীর্ণ পরিবেশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ হোসেন বলেন,প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আসসামুআলাইকুম। আপনাদের মাধ্যমে মুসাপুর ইউনিয়নবাসীর অবগতির জন্য বলতে চাই মঞ্জুর আলম একজন ধূর্ত প্রকৃতির প্রতারক। তার মতো ব্যক্তি আর কিছুদিন মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদে থাকলে এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ পথে বসবে। ইতোমধ্যে আমি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ডিসি,এসপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। আমি ওইসব অভিযোগে লিখেছি,মঞ্জুর আলম চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগী মনোয়ার মেম্বার,লাভলী মেম্বার ও দালাল দেলোয়ার উক্ত ব্যক্তিরা মিলে সাধারণ মানুষের জমিজমা নিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে প্রতারণা করছেন। এর ফলে ইউনিয়নের প্রকৃত ওয়ারিশগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি আমার দাদা মৃত বাবর আলী তার মেয়ে কার্ত্তিক বেগম দেখিয়ে জাল সনদ করে,,, প্রকতপক্ষে মৃত বাবর আলীর ১/ দুদুমিয়া ও ২/ দুধ মেহের এই ২ জন ব্যক্তি ছাড়া আর কোন সন্তান ছিল না। শুধু আমাদের ওয়ারিশ নিয়েই নয় এর আগে সে আরো শত শত মানুষের বিরুদ্ধে ভূয়া ওয়ারিশ দাড় করিয়ে অগণিত মালিকের সম্পত্তি গ্রাস করেছে। যার বেশকিছু ভূয়া ওয়ারিশের সনদ আমি উদ্ধার করেছি।
অতএব, অনুরোধ করছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত টিম গঠন করে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ প্রদান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলমকে সাময়িকভাবে তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।