শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

রূপগঞ্জ কী নিয়ন্ত্রণের বাইরে!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ১৩ মে ২০২৩

রূপগঞ্জ কী নিয়ন্ত্রণের বাইরে!

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের অপরাধ জগতের অভয়ারণ্য হিসেবে যেন নতুনভাবে উত্থান ঘটেছে রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়াছুড়ি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালানো, খুন, মাদক ব্যাবসা এখানে স্বাভাবিক। জেলা পুলিশের মাঝে মাঝে তৎপরতার মাঝেও অশান্ত রূপগঞ্জ। 

রূপগঞ্জ উপজেলা জুড়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। তবে এর কেন্দ্র বিন্দু উপজেলার চনপাড়া বস্তি। দুর্ভেদ্য এই চনপাড়া প্রসিদ্ধ মাদক ব্যাবসায়, অত্যাধুনিক ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা ও দাগী অপরাধীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে।

সম্প্রতি চনপাড়ার ডন হিসেবে খ্যাত সিটি শাহীন ও বজলুর মেম্বারের মৃত্যুর পর অশান্ত হয়ে উঠে চনপাড়া৷ এর নেপথ্যে রয়েছে মাদক ব্যাবসাসহ পুরো চনপাড়ার অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় নেয়া। জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বেশ কয়েকটি গ্রুপ নিজেদের মাঝে সংঘাতে জড়াচ্ছে।

অপরাধীদের এই সংঘাত শুধু রূপগঞ্জের অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণের জন্যেই নয়। এখানে রয়েছে রাজনীতিও। অপরাধীদের মাঝে ধারণা রয়েছে প্রভাব কায়েম করতে পারলে যেমন ক্ষমতাসীনদের আশ্রয় প্রশ্রয় পাওয়া যায় তেমনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারলে প্রশাসনের সাথে সখ্যতাও গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জের অপরাধ জগতের এসকল গডফাদারদের পরোক্ষভাবে মদদ দেয়ার। র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কুখ্যাত সিটি শাহীন ও কুখ্যাত বজলুর মেম্বারের সাথে সেই নেতার সখ্যতা ছিল বলে চাউর হয়েছিল। এই দুই অপরাধীর মৃত্যুর পর সেই নেতার সাথে তাদের বহু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে।

নিজেদের আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে দাবী করলেও এদের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ দলের নেতা হিসেবে তাদের ধারণ করেছে বলে খুব একটা দেখা যায়নি। মৃত্যুর পর হয়নি কোন স্মরণ সভা কিংবা দলের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি কোন বিবৃতি।

তাহলে এই সখ্যতার নেপথ্যে কী? এর নেপথ্যে রয়েছে পেশী শক্তি। অপরাধীদের ছত্রছায়ার রাখার বিনিময়ে রাজনৈতিক নেতারা বরাবরই এসকল অপরাধী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের পেশী শক্তি হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে। রাজনৈতিক সভা সমাবেশে শোডাউন, প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কাজে এসকল অপরাধীদের ব্যাবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধী ও রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে চলছে এই "গিভ এন্ড টেক" সম্পর্ক। পুরো রূপগঞ্জ উপজেলা জুড়ে এমন অপরাধী গ্রুপের উত্থান ঘটছে। এদের কেউ সরাসরি রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত আবার কেউ পরোক্ষ ভাবে।