শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শেষ বছরেও মশা যানজট, জলাবদ্ধতা ও আবর্জনামুক্ত হয়নি নগরী

মাহফুজুর রহমান পারভেজ

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

শেষ বছরেও মশা যানজট, জলাবদ্ধতা ও আবর্জনামুক্ত হয়নি নগরী

যানজট,

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২ মেয়াদে ও পৌরসভা থাকাকালীন এক মেয়াদে টানা মেয়র থাকলেন নগরবাসীকে মশা যানজট, জলাবদ্ধতা ও আবর্জনামুক্ত নগরী উপহার দিতে পারেননি ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। ২০২২ সালের আসন্ন নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে আবারো নির্বাচন করছেন তিনি। 

টানা তিন মেয়াদে এই চেয়ার থাকার পর এবার তিনি তার নির্বাচনী স্লোগান দিয়েছেন সবুজ শ্যামল নগরী চান তিনি। তার শ্লোগানে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নগরবাসী। তাদের মতে, এত বছর সবুজ শ্যামল নগরী না গড়ে তুলে তাহলে তিনি কি করেছেন? নগরবাসীকে মশা যানজট, জলাবদ্ধতা ও আবর্জনামুক্ত করেও দেখাতে পারেননি তিনি। লোক দেখানো কিছু বড় বড় প্রজেক্ট শুরু করা ছাড়া আর তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি, এমনটা অভিযোগ নগরবাসীর। 

সারা বছরে নগরীজুড়ে তো আছেও খোদ নাসিক নগর ভবনের পাশেই এডিশ মশার প্রজনন ক্ষেত্র দেখা গেছে। খানিক বৃষ্টিতেই নগরীর জামতলা ধোপাপট্টি, চাষাঢ়াসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের জন্য নেই কোন ময়লার ডাম্পিং। পুরো সিদ্ধিরগঞ্জবাসী ময়লাকে সঙ্গী করেই নগরীর জীবনযাপন করেন। আর যানজট যেন এ নগরবাসীর জীবনে স্বাভাবিক জীবনের থেকে প্রতিনিয়ত কয়েক ঘন্টা করে পেছনে ফেলে দেয়। 

ময়লার অপসারণের জন্য পঞ্চবটিতে প্রজেক্ট করে সেটি চালাতে না পেরে নগরবাসীর টাকায় করা সেই প্রজেক্ট ফেলে রাখা হয়। পরবর্তীতে বড় অংকের জালকুড়িতে আরেকটি প্রজেক্টের কাজ শুরু করে সেটির ২৫ শতাংশ এখনো কাজ করতে পারেনি নাসিক। 

মশা নিয়ন্ত্রণে গত অর্থবছরের বাজেটেও ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল। তবে, এ ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কোথায় তা জানাতে পারেনি নাসিকের কেউ!

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০২১-২০২২ সালের বাজেট থেকে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দ ও নিজস্ব অর্থায়নে নাসিক চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মশক নিধন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। ২০২০-২০২১ সালের বাজেটে নাসিক এলাকায় মশক নিধনে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।  

সিটি করপোরেশনের বাজেট বইয়ে এ কথা উল্লেখ থাকলেও এ যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নাসিক কর্মকর্তারা।

এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭০ জন মশক নিধন কর্মীর মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে ও করোনা প্রতিরোধে ৮০ লাখ লিটার ক্লোরিন মিশ্রিত পানির স্প্রে নগরে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নগরবাসীর অভিযোগ এ কার্যক্রমগুলো তারা দেখছেন না। জানতে নাসিকের এক দপ্তরের কর্মকর্তারা অন্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলেন।

অনেকে সরাসরি বলে ফেলেন, নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য নিয়ে আমাদের কথা বলা নিষেধ আছে। কে নিষেধ করেছেন সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি কেউ। মশার ওষুধ ও যন্ত্রপাতিগুলো কী কেনা হয়েছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেননি।