
সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে অহিংসভাবে চলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিয়ে আলোচনা আসে সোনারগাঁও। একই সময়ে এসব কেন্দ্রে পাওয়া যায় খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই সীল দেয়া ব্যালট। বিষয়টি আলোচনায় আসে আওয়ামীলীগ বিএনপিসহ সাধারণ ভোটারদের মাঝেও।
জানা যায়, ২৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের সাদীপুর ইউনিয়নের নানাখী ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর পুরুষ কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে সিল মারতে দেখা গেছে। এসময় প্রিজাইডিং অফিসারকে নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়। দুপুরে নানাখী দারুস সুন্নাত হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ চিত্র দেখা গেছে।
এসময় প্রিজাইডিং অফিসার এ চিত্র দেখে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন। এছাড়া তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ফোন দিয়েও অতিরিক্ত পুলিশের সহযোগিতা পাননি।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আজহার হোসেন ভূইয়া জানান, ভোটের কোন নিয়ম মানা হচ্ছে না। বারবার সতর্ক করেও যখন কাজ হয়নি তখন ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছি।
৮ নং ওয়ার্ডের ৫ নং কেন্দ্রের নানাখী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে গেলে দেখা যায়, লাঙ্গলের পক্ষে থাকা এজেন্ট তার প্রার্থীর নাম জানেন না। তার এজেন্ট কার্ডে নেই তার নাম বা কোনো তথ্য এমনকি তার কাছে ছিলো না কোনো ভোটার তালিকা।
এদিকে সোনারগাঁওয়ের একাধিক কেন্দ্রে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যালিটে সিল মেরেছে অজ্ঞাতরা। কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের দাবি, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভোট দিতে এসে এই কাজ করেছেন।
২৮ নভেম্বর দুপুরে নানাখী দারুস সুন্নাত হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে এমন ব্যালট পেপার দেখা গেছে।
সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি সদস্য জাফর আহমেদ তুষার বলেন, নেতাকর্মীরা বর্তমান ফ্যাসিস্ট বিরুদ্ধে ও আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে নীরব প্রতিবাদ স্বরূপ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হয়তো ব্যালটে মুক্তির সিল মেরেছে।