শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ফিরে দেখা ২০২২ : নাসিক নির্বাচন 

পরাজয়ের পাশাপাশি দল থেকে বহিস্কার হন তৈমূর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:১২, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

পরাজয়ের পাশাপাশি দল থেকে বহিস্কার হন তৈমূর 

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও নির্বাচনে পরাজয়ের পর দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনায় জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক তৈমূর আলম খন্দকার।

১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচনে হাতি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির কাছে পরাজিত হয় তৈমূর। নির্বাচনের দুই দিন পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তৈমূরকে।

২৯ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় শহরের মাসদাইরে মজলুম মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরবর্তী '‘ইভিএম মেশিনে ভোট, জাতির জন্য অশনি সংকেত’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৈমূর বলেন, আমি জোর গলায় বলছি, যা হবার হবে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি একটা এটিএম কামাল বানাতে পারবে না। তারপরও সে বহিষ্কার হয়ে গেল। তার বাড়িতেও পুলিশ গেছে। এভাবে তারা আমার ওপর জুলুম অত্যাচার করল। জুলুম না করলে সরকারকে বুঝিয়ে দিতাম, জাহাঙ্গীর কবির নানককে বুঝিয়ে দিতাম ঘুঘুর ফাঁদ কোথায় আছে? একটা লোক গ্রেফতার হলে এলাকাটা কানা হয়ে যায়। যার কাছে হাতির ব্যাজ পেয়েছে, তাকেই ধরা হয়েছে। পরবর্তীতে তারা ব্যাজ না লাগিয়ে মাঠে ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি বিনা হিসাবে নির্বাচন করতে আসিনি। আমি মনে করি এ নির্বাচনে আমার লাভ হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত লাভ হয়েছে, পাশাপাশি দলেরও লাভ হয়েছে। আমাকে যতই বহিষ্কার করুক, আমি বিএনপির সমর্থক হিসেবে থাকব। আমি বিএনপিকে আমার দল মনে করি এবং মৃত্যু পর্যন্ত এটাই করে যাব।

তৈমূর বলেন, আমাদের দলের আজ দুর্দিন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারেক রহমানকে মেনেই আমি রাজনীতি করছিলাম, করি, করব। আগামীতেও আমি থাকব। এতদিন যেভাবে পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, আমি রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলাম, কলাম লিখতাম। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিশেষত প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলো করতাম। বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলাম। জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলাম। জাতীয় চারটা পত্রিকায় আমার কলাম ছাপা হতো। দেশের বাইরেও কয়েকটি বাংলা পত্রিকায় আমার কলাম ছাপা হতো। এখন আমার মূল পেশা হলো আইনজীবী। আমি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে শুরু করে চিফ জাস্টিস আদালত পর্যন্ত ওকালতি করি। আমি অ্যাপিলেট ডিভিশনের একজন আইনজীবী। নির্বাচনের সময় আমার ৩৫ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা নির্বাচনে কাজ করছিলেন। তাদের জামিনের জন্য কোর্টে গিয়েছি। এখন আগের মতো নিয়মিত আইন পেশায় নিয়জিত থাকবো।