শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ফিরে দেখা ২০২২ : বিএনপির রাজনীতি 

দলের সাবেক সদস্য সচিবকে হত্যা চেষ্টায় অভিযুক্তই পেয়েছে আহবায়ক পদ! 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

দলের সাবেক সদস্য সচিবকে হত্যা চেষ্টায় অভিযুক্তই পেয়েছে আহবায়ক পদ! 

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে মূল আলোচনায় ছিল বিগত কমিটির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার ঘটনা এবং সে ঘটনায় নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়টি। ঘটনার পরপরই মামুন মাহমুদের পক্ষ থেকেই এই অভিযোগ আনা হয়।

২৫ এপ্রিল পল্টনে জেলা বিএনপির বৈঠক শেষে বের হবার পর কস্তুরি রেস্টুরেন্টের সামনে মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জুয়েল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে জুয়েলের মোবাইলে কল লিস্ট ও তার দেয়া তথ্যে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সাগর সিদ্দিকিকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় মামুন মাহমুদের স্ত্রী বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করলে মামলায় জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৭ এপ্রিল তিনদিনের রিমান্ডে আনে। রিমান্ডে জুয়েল গিয়াসউদ্দিনের ছেলে রিফাতের নাম বলেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সে সুত্র ধরেই সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে পল্টন থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযানের খবর টের পেয়ে আগেই সটকে পড়েন গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলে রিফাত।

একাধিক সূত্র জানায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিচ্ছেন জুয়েল। মামুন মাহমুদকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত হিসেবে পুলিশের তদন্তে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছোট ছেলে গোলাম মো. কাউসার ওরফে রিফাতের নাম আসে তদন্তে। রিফাতের হয়ে খুনি ভাড়া করেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফতুল্লার বাসিন্দা মো. হৃদয়। আর হামলাকারী মো. জুয়েল মীরকে মামুন মাহমুদের অফিস ও তার ছবি দেখিয়ে দেয় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাগর সিদ্দিকী।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধীনস্থ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের মারামারিতে ১০ নেতাকর্মী আহত হন। ১৫ এপ্রিল সকাল ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের গ্যান্ড তাজ পার্টি সেন্টারে এ সম্মেলন হবার কথা ছিল। সংঘর্ষে পার্টি সেন্টারটির প্রধান ফটক, চেয়ার টেবিলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির এখানকার নির্বাচনী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন ও তার অনুগত কোন নেতাকর্মীদের সম্মেলনের ব্যাপারে জানানো হয়নি এবং তাদের কোন কমিটিতে রাখা হয় না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল তাদের। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনের দিন ঠিক করা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠে। পরে তাদের ক্ষোভের সঙ্গে সহমত জানায় থানা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের একটি অংশ। তারা আজ সকাল থেকেই সম্মেলনস্থলে বিএনপি নেতা কাউন্সিলর ইকবালের নেতৃত্বে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তারা বিষয়গুলো অবহিত করবেন বলে জানান। পরে মামুন মাহমুদের পক্ষের একটি মিছিল সভাস্থলে স্লোগান নিয়ে প্রবেশ করার পরপরই তাদের উপর চড়াও হয় গিয়াসউদ্দিন বলয়ের নেতাকর্মীরা।