শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বাংলাদেশে ‘অবাধ’ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ১১ এপ্রিল ২০২৩

আপডেট: ১৩:১৩, ১১ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশে ‘অবাধ’ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যন্টনি ব্লিঙ্কেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন,  একটা মডেল নির্বাচন করতে হবে।

আমিও বলেছি, অবশ্যই। এটা আমাদের উদ্দেশ্য। আমরাও একটি মডেল নির্বাচন চাই। এ বিষয়ে আপনারাও আমাদের সাহায্য করেন, যাতে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যন্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (১০ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ড. মোমেন বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে ড. মোমেন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা ছবিসংবলিত আইডি তৈরি করেছি, যাতে ফেইক ভোট না হয়। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স করেছি। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি। আমরা আশা করছি, এই কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। তবে নির্বাচন একা একা হয় না। আমরা তোমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে চাই। তোমরা আসো। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু সরকার করতে পারবে না। এ জন্য সব বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে অঙ্গীকার করতে হবে।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনে লোক মারা যায়। আমরা চাই না একটা লোক মারা যাক। আমাদের এখানে হাসি-আনন্দে নির্বাচন হয়। তবে আমরা খুব ইগোস্টিক, এত উদ্বেলিত হই যে, লোক মেরে ফেলি। আমরা চাই, নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের একটা লোকও যেন না মারা যায়। আমরা পরিবেশ তৈরি করেছি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে। এতে অন্য লোকদেরও সাহায্য করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হলে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে জিতে আসব। এ জন্য সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাই।

তিনি আরও জানান, বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ), গণমাধ্যম এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, ডিএসএ করেছি, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য তা করিনি। আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমাদের দেশে বিরোধী দল যখন–তখন বিক্ষোভ করতে পারে। একমাত্র সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি কেউ ধ্বংস করলে আমরা তাকে শাস্তি দিই।