
আহত ছাত্রদল নেতা তুহিন
নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ মে) বিকালে কলেজের তৃতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতার নাম রাফায়েত উল্লাহ তুহিন (২০)। সে তোলারাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন ছাত্রদল ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি।
এঘটনায় ওই ছাত্রদল নেতা মহানগর ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক তোফা আহামেদ ও তোমার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি আপনের নামসহ ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তুহিন উল্লেখ করেন, আমি বর্তমানে সরকারী তোলারাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশুনা করি। উল্লেখিত বিবাদ্বয়কে আমি চিনি না। আজ বিকাল তিনটার সময় আমি অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা শেষে কলেজের মাঠে দাড়ানো ছিলাম। ঐ সময় উল্লেখিত ২নং বিবাদী আপন আমাকে ডাক দিয়া বলে যে, ভাই আসো তোমার সাথে একটু কথা আছে। তখন আমি ২নং বিবাদীর সহিত ৩য় তলার সিঁড়ির পাশে বারান্দায় যাই। সেখানে ১নং বিবাদী তোফা পূর্ব থেকেই উপস্থিত ছিল। সাথে সাথে উল্লেখিত বিবাদীদ্বয় আমার শার্টের কলার ধরিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া বলে যে, তুই রাজনীতি করস। তোকে আজ শেষ করিয়া ফেলিব। তখন আমি তাদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন ক্ষিপ্ত হইয়া আমার চোখে পরনের একটি পাওয়ারের সানগ্লাস মূল্য অনুমান ৩ হাজার ৫০০ টাকা ভাঙ্গিয়া ক্ষতি সাধন করে এবং গলায় থাকা কলেজের শিক্ষার্থী আইডি কার্ড জোর পূর্বক নিয়া নেয়। তখন আমি প্রতিবাদ করিলে উক্ত বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাত নামা ৪-৫ জন আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া নীলা ফোলা জখম করে। একপর্যায়ে ২নং বিবাদী তার প্যান্টের পকেট থেকে ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু বাহির করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় পোচ মারিতে গেলে আমি ডান হাত দিয়া প্রতিহত করি ফলে উক্ত পোচ আমার ডান হাতের কব্জির উপরে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। তখন আমি চিৎকার দিয়া ফ্লোরে লুটাইয়া পড়িলে ২নং বিবাদী সুইচ গিয়ার চাকুর লোহার বাট দিয়া আমার ডান কানের নিচে আঘাত করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ১নং বিবাদী আমার জিন্স প্যান্টের ডান পকেটে থাকা নগদ ১ হাজার ৫৩০ টাকা সহ গলায় থাকা রুপার তৈরি আড়াই ভরি ওজনের একটি চেইন মূল্য অনুমান ৪০০০ টাকা নিয়া নেয়। ২নং বিবাদী আমার ডান হাতে থাকা দুই ভরি ওজনের একটি ব্রেসলেট মূল্য অনুমান ৩ হাজার ৫০০ টাকা নিয়া নেয়। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি কলেজের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিকট গিয়া জানাই। প্রধান শিক্ষক আমাকে চিকিৎসার জন্য তার গাড়ীতে করিয়া খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়া যায়। চিকিৎসা শেষে বিবাদীদের নাম ঠিকানা সংগ্রাহ করিয়া এবং ঘটনার বিস্তারিত কলেজের কর্তৃপক্ষদের সহিত আলোচনা করিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রেজাউল হক দিপু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।