শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

|

আশ্বিন ১৭ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জে বৃষ্টিতে চড়া সবজির বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ৩ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে বৃষ্টিতে চড়া সবজির বাজার

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে কাঁচামরিচ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছও।  

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।  

বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এসব বাজারে ঝিঙ্গা, করলা, বরবটি, বেগুন, কচুর লতি, পটল, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রকারভেদে কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

বাজারে পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটোর কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, ইন্ডিয়ান গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনে পাতা ৩৫০ টাকা কেজি, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি ১০০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে এবং ফুল কপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিসে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক দুেই আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

অন্যদিকে সোনালি কক মুরগির কেজি ৩১০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এদিকে আজ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে ধরা এবং বিক্রির বন্ধের ঘোষণায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং ৭০০ গ্রামের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের মাছ ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং আটাশ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।