শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

|

অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২১ নভেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ বাড়লেও সবজির বাজার চড়া রয়েছে। গত সপ্তাহের মত চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। একই সঙ্গে আলু ও পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মুরগি।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দিগুবাবুর বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এসব বাজারে শিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, টমেটো কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, মুলা কেজিতে ১০ টাকা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা এবং ধুন্দল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

বাজারগুলোতে লেবুর হালি ১০ থেকে ৩০ টাকা, ধনে পাতা ৩০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক দুই আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

আলু কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোনালি কক মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ২৮০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

৩০০ গ্রাম ওজনের তিনটি ইলিশের এক কেজি ১০০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের ১৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ২৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৮০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
 
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।