
ফাইল ছবি
আড়াইহাজার উপজেলায় একটি চারতলা বাড়িতে গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে বিস্ফোরণ হওয়ার পর আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন চারজন।
তাদের মধ্যে চায়না আক্তার (৪০) নামে এক ভুক্তভোগীরও মৃত্যু হয়েছে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। একই ঘটনায় মৃত্যু হয় কানিজ খাদিজা নামে আরেক নারীর।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে চায়নার মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে মারা যান খাদিজা।
চায়নার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন লেগে দগ্ধের শিকাররা হলেন- চায়নার স্বামী সোহান তালুকদার (৪৫)ও মৃত খাদিজার মা হাসিনা মমতাজ (৫৫)। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিস্ফোরণের ঘটনার ব্যাপারে গণমাধ্যমে তথ্য দেন দগ্ধ সোহানের ভাগনে ফাহিম মোল্লা। তিনি জানান, আড়াইহাজার বাজারের পাশে যে ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে, সেটির চারতলায় ভাড়া থাকেন তার মামা সোহান ও তার স্ত্রী সায়মা। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তিনি বিস্ফোরণ ও আগুনের খবর পান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেন। এরপর তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দগ্ধদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, সোহান স্থানীয় ফকির গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তবে তার স্ত্রী সায়মা গৃহিণী। আর তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকতেন খাদিজা। কদিন আগে তার মা হাসিনা মমতাজ ওই বাসায় বেড়াতে আসেন। গ্যাস লিকেজ নাকি অন্য কোনো কারণে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনাটি ঘটে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ফাহিম।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, আগুনে চায়না ও খাদিজার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। হাসপাতালে আনার পরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া হাসিনার শরীরে ৫৫; সোহানের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থাই খুবই আশঙ্কাজনক।