শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বাসে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল দুই হাজতিকে, লুঙ্গি রেখে পালালেন একজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ১২ আগস্ট ২০২২

বাসে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল দুই হাজতিকে, লুঙ্গি রেখে পালালেন একজন

প্রতীকী ছবি

নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার পথে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে হাতকড়া নিয়ে পালিয়েছেন শাহ আলম (৩২) নামে এক আসামি। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার। শাহ আলম নরসিংদীর বেলাব থানার উজিলাব গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার নরসিংদী কারাগার থেকে বাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হচ্ছিল চুরির মামলার দুই হাজতিকে। সঙ্গে ছিলেন নরসিংদী পুলিশ লাইন্সের নায়েক মো. মামুন শেখ ও কনস্টেবল ফারুক। এদিন দুপুরে বাসটি আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী বাজার এলাকায় এসে যানজটে পড়ে। ফলে ধীরে ধীরে চলছিল বাসটি। কিছুক্ষণ পর দুই হাজতির মধ্যে শাহ আলম হঠাৎ বাসের দরজা দিয়ে নিচে লাফ দেন। নায়েক মামুন ও কনস্টেবল ফারুক দ্রুত বাস থেকে নেমে আসামিকে ধাওয়া করেন। এ সময় শাহ আলম দুই পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করেন। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। এক পর্যায়ে নায়েক মামুনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে শাহ আলম দৌড় দেন। কনস্টেবল ফারুক তার লুঙ্গি ধরে টান দিলে লুঙ্গিটি হাতেই থেকে যায়। উলঙ্গ অবস্থায় দৌড় দেন আসামি।

পরে ওই দুই পুলিশ সদস্য অপর আসামিকে বাস থেকে নামিয়ে এনে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে পাঁচরুখী বাজার মসজিদে মাইকিং করেন এবং স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে খুঁজতে থাকেন। খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোবাইলে জানান নায়েক মামুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মাধবদী ও আড়াইহাজার থানার টহল পুলিশ। এরপর সবাই মিলে আবারও পলাতক আসামির সন্ধান করে। কিন্তু খোঁজ মেলে না।

এ ঘটনায় নরসিংদী পুলিশ লাইন্সের নায়েক মামুন শেখ বাদী হয়ে পলাতক শাহ আলমের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় পেনাল কোডের ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করেন।

এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি জানানো হয়। পরে অভিযান চালিয়ে রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।