
ফাইল ছবি
ফতুল্লায় মহানগর কাদিরিয়া চিশতিয়া কথিত বাউল গানের ক্লাবে নারী শিল্পি নিয়ে দুই গ্রুপ মদ্যপায়ী মাতালদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ওই ক্লাবের পরিচালক চাঁন মিয়া সহ অন্তত ৫জন মারধর ও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে।
এঘটনায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে পথচারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী ক্রীকেট ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন কবরস্থানের সামনে অবস্থিত ওই গানের ক্লাবে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুমন মিয়া ও চাঁন মিয়া নামে দুই ব্যক্তি ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী ক্রীকেট ষ্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত লামাপাড়া রামারবাগ এলাকার কবরস্থানের সামনে একটি বাউল গানের ক্লাব দেয়। যদিও নাম বাউল ক্লাব কিন্তু সেখানে চলে বিভিন্ন নেশা সেবন ও মদ্যপায়ী মাতালদের আড্ডা হয়। নারীদের অশ্লিল নিত্য চলে সারা রাত। এতে অনেক লোক তাদের ক্লাবে এসে বৃস্টির মত টাকা ছিটিয়ে সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেন। এনিয়ে অনেক পরিবারে অশান্তি চলছে। এছাড়াও প্রায় সময় মাতালদের মধ্যে ক্লাবের ভিতরেই সংঘর্ষ হয়। ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে আরো একাধীক অভিযোগ এলাকাবাসী ফতুল্লা থানায় করেও কোন প্রতিকার পায়নি। এরমধ্যে শনিবার রাতে আরো একটি বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় পুলিশের নিরবতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় এক নারী শিল্পিকে তার কয়েক ভক্ত তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্লাবের পরিচালক চাঁন মিয়া বাধা দেয়। ওই সময় নারী শিল্পির ভক্তরা ও চাঁন মিয়া সবাই মদ্যপায়ী অবস্থায় মাতাল ছিলো। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে এনিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর নারী শিল্পির ভক্তরা চাঁন মিয়াকে ধরে লিংক রোডে নিয়ে এলোপাথারী মারধর করে গালে ও শরীরের কয়েকটি স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এতে অন্তত ৫জন আহত হয়েছে। তাৎক্ষনিক অন্যদের নাম জানাযায়নি।
এবিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাহাদাৎ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ওই ক্লাবটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।