শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

|

আশ্বিন ১৬ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সোনারগাঁয়ে ধর্ষন মামলার বাদির পরিবারের ওপর হামলা, শিশু ও নারীসহ আহত ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২ অক্টোবর ২০২৫

সোনারগাঁয়ে ধর্ষন মামলার বাদির পরিবারের ওপর হামলা, শিশু ও নারীসহ আহত ৩

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলার বাদির পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মামলা তুলে নিতে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে এ হামলা করা হয়। হামলার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে ২০২৪ সালের ২৫ জুন রাতে দোকানে যাওয়ার পথে এক শিশুকে মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী একটি সিএনজি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার মাসুম মিয়ার ছেলে মারুফ হোসেন। এ ঘটনায় ২৮ জুন ভূক্তভোগীর খালা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মারুফ হোসেন পলাতক থাকে। বর্তমানে সে প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মারুফের পরিবার ওই ভূক্তভোগী শিশুর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। গত বুধবার বিকেলে বাদির ভাতিজি রহিমা আক্তার পাশ্ববর্তী দোকানে সদাই কিনতে গেলে ধর্ষক মারুফের বাবা মাসুম মিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মামলা তুলে নিতে পুনরায় হুমকি দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাসুম মিয়ার নেতৃত্বে মো. খোকন, ধর্ষক মারুফ, সাইমা আক্তারসহ ৮-১০জনের একটি দল লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। এসময় বাদির বোন গ্রাম পুলিশ সদস্য শাহনাজ বেগম, ভাগিনা বাবু মিয়া ও ১১ বছর বয়সী হোসাইন মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মোসাৎ তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

ধর্ষণ মামলার বাদি মোসাৎ তানিয়া আক্তার জানান, ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তের পরিবার হুমকি দিয়ে আসছে। ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অভিযুক্ত মাসুম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় তার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে ওই পরিবার। এ বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার কথা বলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়। তবে হামলা করা হয়নি বলে দাবি করেন।  

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।