ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ঈদের ছুটিতে সোনারগাঁয়ের পানাম সিটিতে দেশী পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ের মাঝে অনেক বিদেশী পর্যটকদের দেখা গেছে এখানে সময় কাটাতে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে সেখানে কয়েকটি দেশের পর্যটকদের ঘুরতে দেখা গেছে। পানাম সিটি ঘুরে সেখানে প্রাচীন ঐতিহ্যের বিভিন্ন জিনিস দেখছেন তারা। অনেককে মোবাইলে বিভিন্ন স্পটে ছবি তুলতে দেখা গেছে।
বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী বীর ঈশা খাঁর সময়কালে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। সোনারগাঁয়ের রাজকার্য পরিচালিত হতো পানাম নগরী থেকে। বর্তমানে যে পানাম দাঁড়িয়ে আছে তার অবকাঠামো ব্রিটিশ আমলের। প্রাচীন পানাম চাপা পড়ে আছে আধুনিক পানামের নিচে।
এখানে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য অট্টালিকা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, নাচ ঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাকশাল, দরবার কক্ষ, প্রশস্ত দেয়াল, ভোজনালয়, বিচারালয়, প্রমোদ কুঞ্জ ইত্যাদি।
পানাম নগরীতে দেখা যায় চারশ’ বছরের পুরনো মঠ-বাড়ি। এর পশ্চিমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য কুঠি ‘নীলকুঠি’ রয়েছে। আছে পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারিসহ নানা প্রাচীন ভবন।
পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খিরাজ খাল। শেরশাহ আমলে নির্মিত সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু পর্যন্ত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড-ট্রাংক রোডের কিছু অস্তিত্ব পানামে আজো দৃষ্ট হয় বলে হাল আমলে তা পাকা করা হয়।
ঈদের ছুটিতে পানাম সিটিতে ঘুরতে আসা এসব পর্যটকদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দিচ্ছে জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের আন্তরিকতায় পর্যটকরা মুগ্ধতা প্রকাশ করে থাকেন প্রায় সময়ই।
নারায়ণগঞ্জ ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে পানাম সিটিতে দেশী পর্যটকদের যেমন উপচেপড়া ভিড় আছে তেমনি আছে বিদেশী পর্যটকদের ভালো উপস্থিতি। তারা এখানে এসে প্রাচীন বিভিন্ন ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে চান। দেশী বিদেশী সকল পর্যটকদের আমরা সার্বিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের সেবায় তারা খুশি। ঈদকে কেন্দ্র করে পানাম সিটিকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অভিযোগ পাইনি। আশা করছি মানুষের ঈদের অবসর পর্যটন স্পটগুলোতে আনন্দে কাটবে।
