
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও জেলা যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জে আর কোন অবরোধ হরতালে সক্রিয় রাজপথের কর্মসূচী করতে পারেনি জেলা কিংবা মহানগর বিএনপি ও দলটির কোন অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
জানা যায়, ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির ডাকা অবরোধের কর্মসূচীতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে ব্যাপকভাবে কর্মসূচী পালন করেন জেলা বিএনপি নেতা রাজীব। একইভাবে টানা কয়েকদিন কর্মসূচী অব্যাহত রাখেন তিনি। শহরেও তার অনুগত নেতাকর্মীরা সক্রিয় নানা কর্মসূচী পালন করেন। তাদের কর্মসূচী স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এসব কর্মসূচীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে তাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
একইভাবে কর্মসূচী পালন করেন জেলা যুবদল নেতা আবু মাসুম। তার সাথে ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ, ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানরা। রূপগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রিয় থেকে আলোচিত হন তারা। প্রায় প্রতি কর্মসূচীতে রাজপথে জোরালো ভূমিকা ছিল তাদের।
এর মাঝে জেলা ও মহানগর বিএনপির সব নিষ্ক্রিয়দের মাঝে শুধু দুটি বলয় কর্মসূচী করে আলোচিত হওয়ায় তাদের খুঁজে বের করতে তৎপর হয় প্রশাসন। এর মাঝে রাজীবকে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে ও মাসুমকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নেতাকর্মীদের মতে, তাদের গ্রেপ্তারে একেবারে নীরব হয়ে যায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। অনেক হেভিওয়েট নেতা থাকলেও তারা নিজেরা ও তাদের কর্মীদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা।