শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

|

শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

অন্যত্র যোগাযোগ, বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় মান্নান!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:০০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অন্যত্র যোগাযোগ, বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় মান্নান!

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান বিএনপির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই নিষ্ক্রিয়। তার নিস্ক্রিয়তায় অনেকেই মনে করছেন বিএনপির রাজনীতিতে হয়তো আর সেভাবে নেই মান্নান। এর মাঝে গুঞ্জন রয়েছে মান্নানের একসময়ের রাজনৈতিক গুরু তৈমূরের সাথেও বেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তার। 

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের পর আর রাজনীতির মাঠে দেখা মেলেনি মান্নানের। নিজে মাঠে না থাকার পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদেরকেও মাঠে নামাতে তেমন উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি তাকে। নির্বাচনপূর্ব বিএনপির সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের সময়ে রহস্যজনক নীরবতা পালন করেছেন বিএনপির এ নেতা। সোনারগাঁয়ের রাজপথে একদিনের জন্যও বড় ধরনের কোন কর্মসূচী কিংবা বলার মত তেমন কোন কর্মসূচীই পালন করে থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এর মাঝে শক্ত আন্দোলনের কর্মসূচীর পরে যখন নরম কর্মসূচী আসলো লিফলেট বিতরণ তখনো মাঠে নেই মানান। আর তার এ নীরবতায় নেতাকর্মীদের মনে ধারণার জন্ম দিয়েছে, তিনি হয়তো রাজনীতির মাঠ ছাড়ছেন।

দলটির সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা জানান, ২৮ অক্টোবরের আগে নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখা, দলীয় কর্মসূচী আসলে নেতাকর্মীদের রাজপথে নামতে উৎসাহ দেয়াসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জেলার মধ্যে এগিয়ে ছিলেন মান্নান। তিনি যখনি চুড়ান্ত আন্দোলন আসলো তখনি হারিয়ে গেছেন। নেতাকর্মীদেরকেও মাঠে নামতে কোন নির্দেশনা দেননি তিনি। রাজপথে নিজেদের জাহির করার মত কোন কর্মসূচীও করেননি। এর মাঝে ঢাকায় একাধিক সমাবেশ হলেও তাতে তিনি যাননি অথচ সেখানে ছিলেন জেলার অন্য নেতারা। এমন অবস্থায় তিনি অন্য কোন দলে যেতে চিন্তা করছেন কিনা সেটিও ভাবছে নেতাকর্মীরা।

সোনারগাঁ থানা বিএনপির ও মান্নানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, মান্নান এক সময়ে তৈমূর আলম খন্দকারের শিষ্য ছিলেন। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবরের পর তৈমূরের সাথে নিয়মিত কয়েকদিন যোগাযোগ হয় মান্নানের। এরপর থেকে মান্নান মূলত ব্যাকফুটে চলে যান। এর মাঝে মান্নান তৈমূরের বিভিন্ন বিষয়ে কথা হলেও শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় না পৌছানোয় সিদ্ধান্তহীনতায় থাকে মান্নান। এটিই মূলত মান্নানের নীরবতারর কারণ। 

তবে যেকোন সময়ে মান্নান তৈমূরের পথে হাঁটতে পারেন এমন সম্ভাবনাও আছে বলে সূত্রটি জানায়।