বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

|

আশ্বিন ২২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বিভক্তির রাজনীতিতে লাভবান হবে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শক্তি : তরিকুল সুজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিভক্তির রাজনীতিতে লাভবান হবে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শক্তি : তরিকুল সুজন

ফাইল ছবি

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী  তরিকুল সুজন বলেন, বাংলাদেশকে মৌলবাদের জমিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার  জন্য মাজারগুলো ধ্বংস ও হামলা করা হচ্ছে। ভিন্ন মতের উপর, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করা হচ্ছে। দেশের মানুষ জানে কারা এই হামলা করছে, কাদের পূর্নবাসিত করার জন্য এই হামলা। বিভক্তির রাজনীতির সুবিধাভোগী কারা তা বোঝার জন্য সীমান্তে যেতে হয় না। যেকোন প্রান্তে থেকে দেশের মানুষ বুঝতে পারে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষের যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে ঐক্যকে বিভক্ত করতে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শক্তি মরিয়া। গত কয়েকদিনে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সংগঠিত হয়ে মাজারসহ আধ্যাত্মিক স্থাপনায় হামলা হচ্ছে। এর আগে আমরা দেখেছি মন্দিরে হামলা হতে। এসব কোনো ঘটনায় কাউকে বিচারের আওতায় আনতে বা মামলা করার খবরও পাওয়া যায়নি। মাজারে হামলার কোনো ঘটনায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। তাদের এই নিষ্ক্রিয়তা সমাজের গভীরের ক্ষতকে বিস্তৃত করবে। বিভিন্ন সমপ্রদায়ের ভেতর বিভাজন আরও বাড়াবে। যা আগের মত অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতে বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করবে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মাজারে হামলা ও সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের নাগরিকদের দশকের পর দশক ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ গুলি করে হত্যা করছে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানী হত্যা থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে স্বর্ণা দাস, ৯ তারিখে জয়ন্ত কুমার সিংহের হত্যা আমরা বিক্ষুব্ধ। আমরা ব্যাথিত। বেসরকারী মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাব অনুয়ায়ী, ২০২৩ সালে ৩১ জন বাংলাদেশি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বা নির্যাতনে নিহত হয়েছেন৷ ২০২১ ও ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৮ ও ২৩ জন৷ আসকের হিসাবে এর আগে ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১১ বছরে ৫২২ জন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে বা নির্যাতনে মারা গেছেন৷ এ বছরও ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে৷ আমরা সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার বিচার চাই। এটা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব বলেন, যারা মসজিদ দখল করছেন, মাজার ভাঙ্গছেন তারা আদতে পতিত আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতি পূর্নবাসন করছেন। তিনি আরোও বলেন এই বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি চলবে না। যারা বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন তাদের পরিনতি পতিত স্বৈরাচারের মতোই হবে।

বিক্ষোভে অঞ্জন দাস বলেন, মাজার সহ সমস্ত ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা বিগত ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পূনর্বাসনের হাতিয়ার। দেশবাসীকে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই হামলা বন্ধে দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসবেন। সীমান্তে আর একটাও গুলি নয়। সকল সীমান্ত হত্যার বিচার চাই।

মহানগর কমিটির নির্বাহী  সমন্বয়কারী পপি রানী সরকারের সঞ্চালনায় জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন সভাপতিত্ব করেন।

বিক্ষোভে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল বাপ্পি, মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাকবীর হোসেন, ১৮ নং ওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান প্রমুখ