
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তারা উদ্দ্যেশ্যহীন ভাবে প্রান দেয়নি। একটি নির্দিষ্ট উদ্দ্যেশ্যে তারা প্রান দিয়েছে। সেটা হল বৈষম্য বিহীন একটি বাংলাদেশ গড়ার। শহীদদের সম্মান দেয়ার উপায় হল স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করা। এটা অবশ্যই ন্যায় বিচার হতে হবে। যারা বেঁচে আছেন, লড়াইয়ে বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের হারিয়েছেন তারা ন্যায় বিচার চান। আমরা এই বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছি। বিচার প্রক্রিয়া আমাদের শুরু এবং শেষ করতে হবে স্বচ্ছ ভাবে।
সোমবার (১৪ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি সেসকল যোদ্ধাদের সম্মান জানাই যারা প্রান হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। সম্মান জানানোর উপায় কী। আমরা কী শুধু তাদের পাঁচ আগষ্ট পর্যন্ত সম্মান জানাবো, না আমাদের আরও কোন পথের কথা ভাবতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তারা স্বপ্ন দেখেছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখার। গণতন্ত্র একটি মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় না। গণতন্ত্রের জন্য এর আগেও লড়াই হয়েছে। এবার বিজয় এসেছে কারণ আমরা ভয়কে একবিন্দু প্রশ্রয় দেইনি। তারা নির্ভিক হয়ে গেছে। দেশটাকে বৈষম্যহীন করতে তারা আত্মত্যাগ করে গেছে। পাঁচ আগষ্ট আসত না যদি ছাত্র জনতা প্রতিরোধ গড়ে না তুলতো।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে আমরা দল, মত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবো। এই বিসর্জনকে সম্মান দেখিয়ে বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের সম্মান জানাবো।