বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

৩৬ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও মূল আসামী গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ২২ মে ২০২৩

আপডেট: ১৫:৪০, ২২ মে ২০২৩

৩৬ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও মূল আসামী গ্রেফতার

গ্রেফতার

একান্তে সময় কাটানোর চুক্তিতে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ক্ষোভে নাসরিনকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসরিন আক্তার (৪০) নামে এক নারী হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩৬ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

রোববার (২২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। 

এর আগে ২১ মে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানাধীন পূর্ববানা (চিলমারীরচর) থেকে অভিযান চালিয়ে আসামি একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে কমলকে গ্রেফতার করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জে সে মুনলাইট গার্মেন্টসের পাশে থাকত।

এ ঘটনায় মুনলাইট গার্মেন্টসের পাশের চান্দু আকন্দের ছেলে অভির উদ্দিন (৩৫) নামে এক আসামি পলাতক রয়েছে। নিহত নাসরিক আক্তার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ির নয়ন মিয়ার স্ত্রী।

১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে একজন অজ্ঞাত মহিলার মৃত দেহ হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এই হত্যার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ভিকটিমের পিতা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে এজহার দায়ের করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাকৃত আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১৯ মে রাতে সে ও অভির উদ্দিন সহ থানার পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। ওরশের গান শেষে রাত অনুমান ০৩ টা ১৫ মিনিটে অত্র মামলার ভিকটিম নাসরিন আক্তারের (৪০) সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে। এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ঘরে প্রবেশ করে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাহির হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ৪শ টাকা নিয়ে যায়। এতে কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে কমল ভিকটিমকে আরো টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে আরো সময় কাটানের জন্য বলে। ভিকটিম রাজি হলে তাকে জালকুড়ি থানাধীন তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছালে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে হাত বেঁধে এবং ভিকটিমের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে কমল ও অভির উদ্দিন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভাড়া বাসায় এসে উভয়ই গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। 

আসামি কমলকে গ্রেফতারের পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ঘটনার সময় আসামির পরিহিত সাদা লুঙ্গি ও গেঞ্জি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয় বলে জানায় পুলিশ।