শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শিক্ষার্থীদের অক্সিজেন হলো শিক্ষা : ভাইস চ্যান্সেলর গিয়াস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

শিক্ষার্থীদের অক্সিজেন হলো শিক্ষা : ভাইস চ্যান্সেলর গিয়াস

প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া বলেন, মর্গ্যান স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতাকালীনন থেকে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বর্তমান বাংলাদেশে নারীদের এখন সম্মান দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরে নারীদের মূল্যায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান আল্লাহ তায়াল আমাদের সকলকে সৃষ্টি করেছেন জ্ঞান ও শিক্ষা গ্রহণের জন্য। পৃথিবীতে গাছ আছে বলে আমরা সকলে অক্সিজেনের কারণে বেচেঁ আছি। মানুষ হিসেবে তেমনই আমাদের গাছের মত অক্সিজেন চারিদিক ছড়াতে হবে। সেই অক্সিজেন হলো শিক্ষা। আমরা শিক্ষার আলোতে আমাদের জীবন শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য সিদ্ধান্তে বিশ্বের দরবারের সাথে শিক্ষা মান উন্নত করেছেন। তিনি শিক্ষিতদের তার যোগ্য স্থানে পৌছাতে সব কিছু করেছে। ম্যাট্টিক ফেল বা ইন্টার ম্যাট্টিক ফেল শিক্ষির্থীরা ভালো বিয়ের ঘর আসে না। আজ যদি তুমি সচিব বা জজ বা অন্যতম শিক্ষিত হও তাহলে তোমার চেয়ে উপরের শিক্ষিত ছেলের বিয়ের প্রস্তাব আসবে। বর্তমানে যারা ছোট রয়েছে, তাদেরই শিক্ষা গ্রহণের সময়। আজকে আমরা বয়স্করা একটি সূরা শিখতে যায়, আমরা পুরোটা শিখবে পারবো না। ছোট থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে তাহলে তোমার মনের আনন্দ থাকবে, জীবনের উৎসাহ থাকবে।

গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে মর্গ্যাণ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মর্গ্যাণ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, মর্গ্যাণ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, মর্গ্যাণ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভনিং বডি সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব, হুমায়ূণ কবির, মোশাররফ হোসেন জনি অন্যান্য সদস্যরা।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আজকের রাজনীতি যে চর্চা শুরু হয়েছে সে চর্চা পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমরা দেখি যারা জনপ্রতিনিধি হয়-যারা আজকে বড় নেতা হয়, তারা মানুষের কল্যাণ বদলে নিজেদের কল্যাণে লেগে যায়। দশটা পাচঁটা বাড়ি করার জন্য বিদেশে দিক ছুটে। আজকের আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা চেষ্টা করছি। আমাদের এই লড়াই আমরা চালিয়ে যাবো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। ওই সময় আমরা বলতাম, এক নেতা এক দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশে, সোনার বাংলাদেশ গড়া প্রত্যয় করতে হবে। শিক্ষার্থীরা আজ শিক্ষিত হলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। শিক্ষিত জাতি না হলে আবারো আগষ্টের মত ঘটনা আসবে দেশে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা পর শেখ হাসিনা দেশের এসে বলেছিলেন, আমার পরিবার আজ নেই। আপনারা দেশের মানুষ আমার পরিবার ও স্বজন। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে দেশের মানুষ।

মর্গ্যাণ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভনিং বডি সদস্য আহসান হাবিব বলেছেন, স্বপ্ন দেখতে হবে সকল মানুষকে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্র আবুল কালামের উক্তি নিয়ে বলতে চাই- স্বপ্নের মাধ্যমে মানুষ জীবন গড়ে উঠে। আজকে এই মঞ্চে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করায় ছাত্রজীবন থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। জীবনে অনেক জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। পৌরসভা, সদর উপজেলা ও নাসিক নির্বাচন সহ একাধিক নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও তিনি ব্যর্থ হয়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শয্যা অবস্থায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ন দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সাড়ে ৫ বছর জেলা পরিষদের উন্নয়নে তার কাজ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।