শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জে জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স’র দাবিতে মালিক সমিতির মানবন্ধন ও স্মারকলিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ২৭ নভেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জে জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স’র দাবিতে মালিক সমিতির মানবন্ধন ও স্মারকলিপি

মানবন্ধন

নারায়ণগঞ্জে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (সংশোধন) ২০১৯ বর্ধিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং বর্তমান কয়লা সংকত সমাধানের দাবিতে ইটভাটা মালিক সমিতি মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেছেন। 

রোববার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মো: মঞ্জুরুল হাফিজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন।

এদিকে ইটভাটা মালিক সমিতি বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তাদের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেন। তারা ইটের গুনগত মান এবং নির্মান কাজে স্বল্প খরচে ইটের ব্যবহারের বিষয়ও তুলে ধরেন বক্তারা।  

স্মারকলিপি ইটভাটা ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ ইটভাটার মালিকগন বিগত ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সহ সকল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহ্নত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীল বলিষ্ট নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, নিজস্ব অর্থায়নে পন্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকা শহরে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র সহ আরো অন্যান্য প্রকল্প নির্মানের মাধ্যমে দেশে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এই দুরদর্শী উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে ইটভাটা মালিকগন বায়ুদুষন রোধে বিগত ২০০২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের জারীকৃত পরিপত্র মোতাবেক সনাতন পদ্ধতি ড্রাম চিমনীর পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ১২০ ফুট উচ্চতা স্থায়ী চিমনী ইটভাটা জ্জ বছরে বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১০ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের গণবিজ্ঞপ্তিতে তৎকালিক ১২০ফুট উচ্চতার চিমনীর পরিবর্তে আগামী ২বছরের মধ্যে জিগজ্যাগ/হাইব্রিড হফম্যান কিলন/ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন, ট্যানেল ইত্যাদি প্রযুক্তির ভাটায় রূপান্তরিত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক জিগজ্যাগ ভাটা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন ব্যবসায়ীরা। যাহা বাস্তবায়নে আবারো প্রতি ভাটায় দুই কোটি টাকার অধিক ব্যয় হয় এবং সেই লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে জিগজ্যাগ ভাটার রূপান্তর কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। বর্তমান সারা বাংলাদেশে প্রায় ৯৮ভাগ ইটভাটা জিগজ্যাগ প্রযুক্তিতে রূপান্তর রয়েছে। জিগজ্যাগ ভাটা জ¦ালানী সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব। ২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রন আইনের জিগজ্যাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮(৩) (ঙ) এবং ৮(৩) (খ) উপ-ধারায় দুরত্ব নির্দিষ্ট করনের কারনে দেশের অধিকাংশ জিগজ্যাগ ইটভাটা অবৈধ হয়ে পড়ে। ফলে মালিকগন ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছে না।       

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইটভাটা ব্যবসায়ী সমিতির নেতা শওকত আলী, আব্দুল গফুর রাজা, আজিজুল হক আজিজ, মোমেন খান, নজরুল ইসলাম বাবুল, সলিম উল্লাহ, জয়নাল বেপারী, আব্দুল হামিদ, মিজানুর রহমান, হারুন রশিদ, ইলিয়াস মোল্লা, জয়নাল মাদবর, রওশন সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।