
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আবাসিক গ্যাস সংযোগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু চাহিদা কমেনি একটুও। আর সেই চাহিদা মেটাতেই অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অবৈধ পথে গ্যাস সংযোগ নেওয়ার পথ। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে গ্যাস অপচয়, অন্যদিকে দেখা দিচ্ছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু ঠিকাদারি চক্র এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে টাকার বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ দিচ্ছে। কোথাও আবার পুরনো সংযোগকে বেআইনিভাবে পুনঃসংযুক্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এই টাকার একটা অংশ তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে ম্যানেজ করে ঠিকাদাররা এসব সংযোগ বহাল রাখছেন ও নতুন সংযোগ দিচ্ছেন।
ফতুল্লা এলাকার এক ভুক্তভোগী বলেন, নতুন সংযোগ চাইলে বলে, এখন হয় না। কিন্তু পাশের বাসায় দেখি রাতারাতি লাইন চলে এসেছে। কে কীভাবে আনল, বুঝি না।
সিদ্ধিরগঞ্জের এক গৃহিণী জানান, চুলা চলে না ঠিকমতো। বাধ্য হয়ে অনেকেই টাকার বিনিময়ে ‘ম্যানেজ’ করে নিচ্ছে লাইন। কেউ কিছু বলেও না।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন নতুন সংযোগ স্থগিত থাকলেও কেউ অবৈধ লাইন বসালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নজরদারির সীমাবদ্ধতা ও লোকবলের অভাব থাকায় অনেক কিছুই অজানা থেকে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন সংযোগ বন্ধ থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। মানুষের চাহিদা থেকে যাচ্ছে, আর তা পূরণে যদি বৈধ রাস্তা না থাকে, তারা অবৈধ পথেই যাবে। তবে এভাবে অবাদে অবৈধ সংযোগ দেয়ার ফলে এখন নারায়ণগঞ্জে বৈধ সংযোগে গ্যাস সংকট হচ্ছে পাশাপাশী অবৈধ এত সংযোগের ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।