বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

|

ভাদ্র ৪ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

অগ্নিকান্ড নাকি পরিকল্পিত আগুন?

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ১৯ আগস্ট ২০২৫

অগ্নিকান্ড নাকি পরিকল্পিত আগুন?

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় শহীদ জিয়া হলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত কীনা এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ তৈরী হয়েছে। 

এর আগে আওয়ামী লীগের আমলে বরাবরই টার্গেট ছিল এই জিয়া হল। ক্ষমতার শেষ দিকে এসে রাতের আধারে শহীদ জিয়া হলে থাকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (১৯ আগষ্ট) সকালে শহীদ জিয়া হলের ভেতরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় ভেতরে থাকা বেশ কিছু পরিত্যাক্ত আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে যায়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। 

এর আগে ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়া হলের ওপরে থাকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন এঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দায়ী।

এর আগে ১৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জে শহীদ জিয়া হলের জায়গায় ছয় দফা মঞ্চ বানানোর ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি শামীম ওসমান। 

এসময় তিনি বলেন, আমার বাবা এ কে এম সামসুজ্জোহা ৩৭ বছর আগে মারা গিয়েছেন। যিনি মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন, ভাষাসৈনিক, বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে গিয়ে বুকে গুলি খেয়েছেন। যার কথা বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে বার বার লিখে গেছেন। জাতির পিতার কন্যাও তার বক্তব্যে যার কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ৬ দফা আন্দোলনের যে সমাবেশ হয়েছিল নারায়ণঘঞ্জ টাউন হল ময়দানে সেটার সভাপতিত্ব করেছে আমার বাবা সামসুজ্জোহা। আমি ভবিষ্যতে নারায়ণগঞ্জে ৬ দফা মঞ্চ করব। 

তার এমন বক্তব্যের পর জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার ঘটনায় সন্দেহের তীর চলে যায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দিকে। তবে সেসময় বিষয়টি অস্বীকার করেন তারা।

সর্বশেষ মঙ্গলবার জিয়া হলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুনরায় বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে সন্দেহ তৈরী হয়েছে। পলাতক আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নাশকতা চালাতে জিয়া হলে আগুন দিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তারা।