
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাড়ছে ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা দোকান। অনেক সময় ফুটপাত ছাপিয়ে মূল সড়কেও বসছে এসকল দোকান। এর ফলে শহরের চাষাঢ়া, বঙ্গবন্ধু সড়ক, ২নং রেলগেট, দেওভোগ ও কালিরবাজার এলাকাগুলোতে চলাফেরা করা দিনকে দিন কঠিন হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জন্য।
পথচারীদের হাঁটার জন্য বরাদ্দ ফুটপাত এখন যেন হয়ে উঠেছে ব্যবসার নতুন ঠিকানা। কাপড়, জুতা, প্রসাধনী থেকে শুরু করে ফল-মূল সবই এখন বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতজুড়ে। অনেক ভ্রাম্যমাণ দোকানদার এখন ফুটপাতে ২-৩টি পর্যন্ত দোকান চালাচ্ছেন। নিজের নামে একটিতে বসছেন, আর বাকিগুলো চালাচ্ছেন ভাড়া দিয়ে বা সহযোগীদের মাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতের একজন দোকানদার জানান, দোকান ভাড়া নিতে গেলে অনেক টাকা লাগে। ফুটপাতে বসলে কেউ কিছু বলেও না, এখানে অল্প কিছু খরচ হয়। আবার দিনে ভালো ইনকাম হয়। আমি নিজের নামে একটা রাখছি, আরেকটা ভাগ্নে চালায়।
স্থানীয় দোকানিরা বলছেন, মূল সড়কের ব্যবসায় এখন প্রভাব পড়ছে ফুটপাত দখলদারদের কারণে। ক্রেতারা ফুটপাতের দোকান থেকে কিনে নিচ্ছেন, দোকানে ঢোকেন না তেমন।
অন্যদিকে পথচারীরা বলছেন, "রাস্তায় হাঁটার জায়গা নাই, বাচ্চা নিয়া চলা যায় না। ফুটপাত যেন বাজার হয়ে গেছে।”
সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় সময়ই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে কিছুদিন যেতেই আবার পুরনো চিত্র ফিরে আসে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রিন এন্ড ক্লীন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচি হাতে নেয়ার পর থেকে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চললেও ফুটপাত দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চললেও কিছুক্ষণ পরেই এসকল ব্যাবসায়ীরা এসে বসে পড়ে।
স্থানীয়দের দাবি, যানচলাচলের সুবিধা ও শহরের শৃঙ্খলা ফেরাতে এখনই প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত অভিযান, জনসচেতনতা এবং বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান পাওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন নগরবাসী।