সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

|

আশ্বিন ২৬ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

টাইফয়েডের টিকা, নিজের মেয়েকে টিকা দিয়ে শঙ্কা দূর করলেন মেডিকেল অফিসার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ১২ অক্টোবর ২০২৫

টাইফয়েডের টিকা, নিজের মেয়েকে টিকা দিয়ে শঙ্কা দূর করলেন মেডিকেল অফিসার 

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে সারাদেশে শিশুদের টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। 

রোববার (১২ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহরের ইমপেরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়। 

এদিন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাফিয়া ইসলাম নিজের মেয়েকে প্রথম টিকা প্রদান করে অভিভাবকদের মধ্যকার টিকার শঙ্কা দূর করেন। 

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, 'আমরা ২ লক্ষ্যের অধিক শিশুকে টিকাদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছি। সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা হবে। টাইফয়েডের টিকা যেমন নিরাপদ তেমনি শিশুদের টাইফয়েডের ঝুকি কমিয়ে আনবে। আমরা আশা করবো অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিশুদের টিকা প্রদান করতে সক্ষম হবো।' 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের ভেতর উপস্থিত ছিলেন, ইমপেরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সালিনা এ চৌধুরী, নাসিকের ইপিআই কর্মকর্তা নাসির হোসেন প্রমুখ। 

এসময় নাফিয়া ইসলাম জানান, সারা বাংলাদেশে প্রথম টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনেই প্রথম টিকাদান হচ্ছে। এই টিকা নিয়ে জনগনের মধ্যে নানা রকম ভয় আতঙ্ক ছিল। তবে এটা নিতে আমরা নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেছি। 

এদিকে ১২ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে। প্রথম ১০ দিন প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ১ ডোজ করে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী ৮ দিন বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশুদের কমিউনিটি পর্যায়ে (আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্র) টিকা প্রদান করা হবে। যেসব শিশু কোনো কারণে বাদ যাবে, তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে। 

নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলা (সিটি করপোরেশন এলাকা ছাড়া) এই ক্যাম্পেইনের আওতায় থাকবে। মোট ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৫ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৮৫৮ জন বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী এবং ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭০৭ জন বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশু। 

জেলায় মোট ২ হাজার ১৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১ হাজার ৫৬টি অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২ জন টিকাদান কর্মী ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ১ জন টিকাদান কর্মী ও ২ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ৩ জনের দল কাজ করবেন।