
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচিকে ঘিরে নানান রকমের অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়ায় নিজের মেয়েকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে টিকাদান শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ নাফিয়া ইসলাম। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে তার এই উদ্যোগ ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে টায়ফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
এসময় সবার প্রথম টিকা নেন নাসিকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিয়া ইসলামের মেয়ে জাফিরা রাউনাফ নোরা।
এসময় নাফিয়া ইসলাম জানান, সারা বাংলাদেশে প্রথম টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনেই প্রথম টিকাদান হচ্ছে। এই টিকা নিয়ে জনগনের মধ্যে নানান রকম ভয় আতঙ্ক ছিল। তবে এটা নিতে আমরা নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেছি।
এদিকে ১২ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে। প্রথম ১০ দিন প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ১ ডোজ করে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী ৮ দিন বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশুদের কমিউনিটি পর্যায়ে (আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্র) টিকা প্রদান করা হবে। যেসব শিশু কোনো কারণে বাদ যাবে, তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলা (সিটি করপোরেশন এলাকা ছাড়া) এই ক্যাম্পেইনের আওতায় থাকবে। মোট ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৫ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৮৫৮ জন বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী এবং ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭০৭ জন বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশু।
জেলায় মোট ২,১৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১,০৫৬টি অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২ জন টিকাদান কর্মী ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ১ জন টিকাদান কর্মী ও ২ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ৩ জনের দল কাজ করবেন।