সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

|

আশ্বিন ২৬ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

দুর্দিনে যুবদলের পতাকা আগলে মাঠে ছিলেন আবু মাসুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১১ অক্টোবর ২০২৫

দুর্দিনে যুবদলের পতাকা আগলে মাঠে ছিলেন আবু মাসুম

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম। বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতাকে হামলা, মামলার শিকার হতে হয়েছে বহুবার। তবুও দমে যাননি, রাজপথে মাসুমের নেতৃত্বে যুবদল ছিল সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকায়।

ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন মাসুম। জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এই নেতা। সেসময় জেলাজুড়ে, বিশেষত রূপগঞ্জে বিশাল কর্মী বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শেষ দিয়ে রূপগঞ্জে যুবদলকে সুসংগঠিত করে মাঠে দুর্বার অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ও জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মাসুম।

বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় রূপগঞ্জের তৎকালীন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রোষানলে পড়েন মাসুম। শুধু মাসুমই নয়, তার অনুসারী কর্মীদের ওপর হয়েছে ব্যাপক নির্যাতন। তবুও নেতাকর্মীদের আগলে রেখে তাদের পরিবারের পাশে ছায়া হয়ে ছিলেন মাসুম।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে বিএনপির সমাবেশে হামলার পর দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নিধনে নামে। পুলিশের পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চড়াও হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও।

এদিকে ২৮ অক্টোবরের পর রূপগঞ্জ জুড়ে মাসুমের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে যুবদলের নেতাকর্মীরা। এঘটনার জেরে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর মাসুমের বাড়িতে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করে ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান তারা। বাড়ির গেট ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক তান্ডব চালায় হামলাকারীরা। 

এসকল হামলার পরেও মাসুম দমে যাননি। হরতাল অবরোধের সমর্থনে রূপগঞ্জে আন্দোলন সংগঠিত করতে থাকেন। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ ৭৩ দিন কারাভোগ করে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি মুক্তি পান মাসুম।

এত অত্যাচারের পরেও জেল থেকে বের হয়েই পুনরায় দলকে সংগঠিত করতে কাজ শুরু করেন মাসুম। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে মাসুমের নেতৃত্বে রূপগঞ্জে, নারায়ণগঞ্জে ও ঢাকায় যুবদলের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।