বাল্কহেড শ্রমিকদের কর্মবিরতি
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর কথিত বালুমহাল ইজারাদার কর্তৃক নৌ চলাচলের বাধা প্রদান, শ্রমিকদের মারধর করে চাঁদাবাজি করা ও নির্যাতন বন্ধ এবং নৌ পুলিশের কিছু সদস্যদের ব্যাক্তিস্বার্থে বাল্কহেড শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা, মাসোহারা নেয়া ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে বাল্কহেড শ্রমিকরা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জের শান্তিরচরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এ কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা।
এসময় বাল্কহেড শ্রমিকরা অবিলম্বে নৌ শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেয়া না হলে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
নিজামউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার।
এসময় সবুজ বলেন, বাঁচতে হলে আমরা বীরের মত বাঁচব। আমার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ইনকাম করি। আমরা মদ গাঁজা ইয়াবা বিক্রি করি না। আজ কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে। সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট নির্মাণ হয়েছে। পুলিশের হাউজিং হয়েছে। আজ শ্রমিকদের কথা ভুলে আপনারা আক্রমণ করেন। বালু থাকলে উত্তোলন করেন, আপত্তি নেই। কিন্তু শ্রমিকদের বাধ্য করার অধিকার আপনারা কোথায় পেলেন।
তিনি বলেন, ড্রেজারে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে একটা বাল্কহেড লোড দিতে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সেটা কোন বালু না, পচা কাদা মাটি। আপনারা সেগুলো দেশের কোথাও বিক্রি করতে পারেন না। শ্রমিকরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন, তাদের খোরাকির টাকাও ওঠে না। তাই আমি অনুরোধ করবো, আজকের পর থেকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা না দিলে, আমরা রোহিঙ্গা না। আমরা যেখানে খুশি সেখানে যাবো, এই বাধা দেয়া যদি বন্ধ না হয়। এটা আইনে বলা আছে কোন জাহাজের গতিরোধ করে চাঁদা নেয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, নদীতে কোস্টগার্ড আছে। আপনারা আইন জেনেও রঙিন চশমা চোখে লাগান। সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি করে পয়সা কামায়। সেই পয়সার ভাগ অবশ্যই আপনাদের পকেটে যায়। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে জীবনের বিনিময়ে হলেও আপনাদের এক ফোটা রক্ত এই বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যায় পড়তে দেব না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্মবিরতি চলমান থাকবে।