
বিক্ষোভ মিছিল
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইকবাল হোসেনের কার্যালয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া মাদ্রাসা রোড এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এসময় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শেষে স্থানীয়রা জানান, কাউন্সিলর কার্যালয়ে স্থানীয় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। হামলার পর থেকে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমাদের ছেলে মেয়েদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে পারছি না। আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে আসা বয়স্ক এক বৃদ্ধা জানান, প্রতিমাসে এই অফিস (কাউন্সিলর) থাইকা কিছু সহযোগীতা পাইতাম অহন আর পাই না। কাউন্সিলর অফিস নাকি কারা ভাঙচুর করছে। তাই এই অফিসে কেউ অহন আর আসে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক ও তার ছেলে সীমান্ত সন্ত্রাসী বাহিনী লালন পালন করেন। শফিকের নির্দেশে তার ছেলে সীমান্ত একের পর এক হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর, অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই হামলা কাউন্সিলর কার্যালয়ে করা হয়নি, করা হয়েছে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের উপর। হামলা পর থেকে ভয়ে অফিসে কোন কর্মকর্তা আসে না। বর্তমানে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে এই কার্যালয়। আমরা এখন কোন সুবিধা নিতে পারছি না। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াত আইভি, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি জানান, দ্রুত হামলার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের সুবিধা গ্রহণ করার ব্যবস্থা করার আহবান জানান ওই বাসিন্দা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, গত শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক ও তার ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্তের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় অফিসের সচিবসহ বেশ কয়েকজনকে অফিসে না বসতে হুমকি দেয় তারা। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ অফিসে আসতে সাহস পায় না। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে পুলিশ কোন অভিযোগ না নিয়ে উল্টো আমার লোকজনকে হয়রানি করেন বলেও জানান তিনি।