
ফাইল ছবি
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের ট্রাফিক জ্যাম নিরসনের অংশ হিসেবে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবকরা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে শহরের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের অনুমোদনহীন ব্যাটারিচালিক অটোরিক্সা শহরের ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে একথা জানান তিনি।
সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবকরা সড়কের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কয়েকজন ইজিবাইক চালক এই নির্দেশনা অমান্য করে শহরে প্রবেশ করতে চাইলে বাঁধা প্রদান করে স্বেচ্ছাসেবকরা। এসময় অটোচালক নামধারী কিছু দুর্বিত্ত বাঁধা অমান্য করে ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে হাতাহাতিতে জড়ায়। পরবর্তীতে কতিপয় শেল্টারদাতার ইন্ধনে সাধারণ অটোচালকদের ক্ষিপ্ত করে ছাত্র এবং স্বেচ্ছাসেবকদের উপর হামলা চালায় যা অপ্রত্যাশিত ও নিন্দনীয়। কতিপয় দুষ্কৃতিকারী সাধারণ অটোরিকশা চালকদের সাথে ছাত্র জনতার মুখোমুখী অবস্থান দাঁড় করাতে চাচ্ছে। তারা এই শহরকে অস্থিতিশীল ও বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে চায়।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জ শহরে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগের। তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে অটোরিকশার বিষয়ে। সেই সাথে ইজিবাইক চলাচলের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে এসে ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবকরা আক্রান্ত হবে এবং সেই ঘটনাকে পুঁজি করে সাধারণ অটোচালকদের সাথে ছাত্রদের মুখোমুখী দাঁড় করিয়ে দেয়া কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্ত করে সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে শহরের যান চলাচলের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক শেল্টার নিয়ে বা কারও উস্কানিতে পেশির জোড়ে আইন লঙ্ঘন করা যাবে না। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা উস্কানিদাতা ও হামলার সাথে সরাসরি জড়িত তাদের কোনভাবেই ছাড় না দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।