ফাইল ছবি
আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বহিষ্কৃত দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা—সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। জানা গেছে, দল তাদের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে এবং তাদের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হয়েছে। দ্রুতই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে ইকবাল ও রিয়াদ—উভয়েরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। বিশেষত বিগত সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে দলের ডাকা বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে তারা মাঠে থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু এক পর্যায়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের উভয়কেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা নিশ্চিত করেছেন, দলের হাইকমান্ড ইকবাল ও রিয়াদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। এরই মধ্যে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে তাদের রাজনৈতিক ভূমিকার ইতিবাচক দিকগুলো উঠে এসেছে। দলের কঠিন সময়ে তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ও মাঠের সক্রিয়তার বিষয়টি আমলে নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা জানান, "দল সাংগঠনিক সময় পার করছে। এ মুহূর্তে ইকবাল ও রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ও সক্রিয় নেতাদের দলে ফেরানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে নির্বাচনের তফসিল যদি কাছাকাছি সময়ে ঘোষণা হয়, তবে তাদের সাংগঠনিক শক্তি কাজে লাগাতে পারলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আন্দোলন আরও জোরদার হবে।"
তিনি আরও বলেন, "তাদের বহিষ্কার করা হলেও তারা কখনও দলের নীতি-আদর্শের বাইরে যাননি। তারা দুজনেই আনুষ্ঠানিকভাবে দলের কাছে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এবং ভবিষ্যতে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন। হাইকমান্ড তাদের আবেদন গ্রহণ করে তদন্তের পর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।"
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানা গেছে, খুব শীঘ্রই ইকবাল হোসেন ও রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দলের সকল পদ ও সদস্য পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপিতে নতুন গতি ফিরবে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

