শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

|

কার্তিক ৮ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

মেঘনা নদীতে গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

মেঘনা নদীতে গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার 

ফাইল ছবি

মুন্সিগঞ্জ জেলরা চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনার অন্যতম আসামি রিপন ছয়ালকে (৩৫) নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব-১১।

এর আগে ২৩ অক্টোবর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১। রিপন ছয়াল (৩৫) চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মৃত জুোমত ছয়ালের ছেলে।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ০৭:৩০ ঘটিকার সময়  মুন্সীগঞ্জ সংলগ্ন চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- চাঁদপুর মতলব থানার পশ্চিম হানিফার গ্রামের মোঃ আক্তার হোসেন খানের ছেলে  রিফাত খান (২৮) ও মতলব ভাষানচর দক্ষিণ কান্দি গ্রামের মোঃ কামাল ফকিরের ছেলে রাসেল ফকির (৩৩)। গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে রাসেল ফকির কালিরচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার জন্য বের হয়। তার সাথে মতলব উত্তর থানার মোঃ রিফাত খানও ছিল। নদীতে মাছ ধরার সময় হঠাৎ কয়েকটি ইঞ্জিন চালিত বোট ও স্পীডবোট ঘটনাস্থলে আসিয়া ঘন কুয়াশার মধ্যে রাতের অন্ধকারে আসামীগন এলোপাথাড়ি গোলাগুলি শুরু করে। ঐ সময় আসামীদের ছুঁড়া গুলিতে রাসেল ফকির ও তার সঙ্গী মোঃ রিফাত খান গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। অতপর রাসেল ফকির ও তাহার সঙ্গী মোঃ রিফাত খানকে গুরুতর আহত অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন।

জানা যায়, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ সদরের কালীরচর গ্রামে কানা জহির ও কিবরিয়া মিজি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। মুন্সিগঞ্জ সদরের কালিরচর এলাকার কিবরিয়া মিজি ও তার লোকজন মুন্সীগঞ্জ-মোহনপুর সীমানাধীন চর বাংলাবাজার এলাকায় ২৫ থেকে ২৬ টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে। অপরদিকে কালিরচর গ্রামের বাসিন্দা কানা জহির গ্রুপও একইভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কানা জহির ও তার লোকজন প্রতিপক্ষ কিবরিয়া মিজির অবৈধ বালু মহালের পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলতে গেলে কিবরিয়া মিজির বালু সিন্ডিকেটের সশস্ত্র সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয় এবং গুলিবর্ষণ করে। এতে ট্রলার ও স্পিডবোটে থাকা রিফাত, রাসেল ও স্পিডবোট চালক আইয়ুব আলী গুলিবিদ্ধ হন।

গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।