সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

|

কার্তিক ১১ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার

ফাইল ছবি

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী আজিজুল ইসলাম আজিজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সুলতান মাহমুদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আজিজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের সহায়তা চেয়েছিল। এরপরেই আজিজকে আমরা গ্রেফতার করি। ডিবির টিম আসামি নিতে দর্শনা আসছে; আমরা রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিবো।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পলাতক থাকা আজিজ দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, লুটপাট, জাল-জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধ-ডজনের বেশি মামলা আছে আজিজের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হওয়া একটি চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি আজিজ। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাবে ডিবি পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ।

ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রাকিব খান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করেছি। চাঁদাবাজির একটি মামলায় সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।’

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এরশাদ গ্রুপের তেজগাঁও গোডাউন থেকে বিপুল মালামাল লুট ও মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে আসছিল আজিজসহ তার সহযোগীরা। এই ঘটনায় গতবছরের সেপ্টেম্বরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০ জন এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।

শিল্পগ্রুপটির (এরশাদ গ্রুপ) নারায়ণগঞ্জে রড তৈরির কারখানার মেশিনারিজ ও মালামাল লুটের সাথে জড়িত ছিলেন এই আজিজ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা রয়েছে। এবি ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা নিয়ে গড়ে তোলা কারখানা দখল নিতে এরশাদের গ্রুপের চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে শামীম ওসমান, আজিজসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা কারখানাটিতে লুটপাট চালায়।