রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

|

কার্তিক ৯ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

যুবদলের সাবেক নেতাদের মিলন মেলা, খোরশেদকে প্রার্থী ঘোষণা নেতাকর্মীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ২০:০৭, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

যুবদলের সাবেক নেতাদের মিলন মেলা, খোরশেদকে প্রার্থী ঘোষণা নেতাকর্মীদের

মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ

সাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল (খোরশেদ-মন্তু) কমিটির নেতাকর্মীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে খোরশেদকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পযন্ত বন্দরের সাবদী এলাকার হাজরাদীতে যুবদলের নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার যুবদলের সাবেক শত শত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আনন্দ উদ্দীপনার মাধ্যমে উক্ত মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মিলন মেলায় যুবদলের নেতাকর্মী নিজেদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, প্রীতিভোজ সহ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

আলোচনা সভায় মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। 

এসময় যুবদলের সাবেক নেতাদের পক্ষ থেকে বন্দর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ সানোয়ার হোসেনকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। 

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোরশেদ বলেন, আমাদের সময় যারা যুবদল করতো তখন হয়তো লোক কম ছিলো। কিন্তু তারা সাহসি ছিলো। নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিস্ট শামীম ওসমান ও হাসিনার পুলিশের সাথে রাজপথে তারা লড়াই করেছে। তখন আমরা যুবদলের কর্মসূচির বাইরেও মূলদল ও ছাত্রদল, মহিলা দল স্বেচ্ছাসেবক দলকে বেকাপ দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল শক্তিশালী ইউনিটের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলো। এখন যেমন আওয়ামী লীগ খুঁজে পাওয়া যায় না সবাই বিএনপি হয়ে গেছে, তেমনি তখন সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছিলে বিএনপি খুঁজে পাওয়া যেতনা। তখম আমরা রাজপথে ফাইট করেছি।  আজকে যারা আমরা সাবেক যুবদলের নেতারা একত্রিত হয়েছি আগামীতে আমরা সাবেক যুবদলের ব্যানারেই রাজপথে কর্মসূচি পালন করবো। 

তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। প্রতিটি আসনে অনেক উপযুক্ত প্রার্থী আছে।আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু আমরা কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে দলের ক্ষতি করবো না। দল থেকে অনেকেই প্রার্থী হতে চাচ্ছেন, আমরা কোন ভাইয়ের লোক হবোনা, দল যার হাতে ধানের শীষ তুলে দিবে আমরা তার জন্যই জীবন বাজি রাখবো ইনশাআল্লাহ। 

বর্তমান মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের দৃষ্টি আর্কষণ করে তিনি বলেন, যখন আমি আর মন্তু ভাই যুবদলের দায়িত্বে ছিলাম তখন ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুল আলম সজল আমার বাল্যবন্ধু ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আমাদের কাছে কিছু নাম প্রস্তাব করেছিলেন যারা নাকি ছাত্রদল করতো। আমরা তখন বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছি, ভবিষ্যতে যেহেতু সে যুবদলের নেতৃত্বে আসবে তার পথ সুগম করার জন্য আমরা সহ-সভাপতি সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদ তার প্রস্তাবিত লোকদের দিয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা তার কাছে কিছু নাম প্রস্তাব করবো  যারা আমাদের সাথে যুবদলে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায় নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের এখনো বয়স আছে যুবদল করার যোগ্যতাও আছে সে লোক গুলোকে যেন মূল্যায়ন করা হয়।

উক্ত মিলন মেলা মরহুম নেতা কর্মীদের মাফফিরাত ও অসুস্থদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। দোয়া পাঠ করেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও মিলন মেলার প্রধান অতিথি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ আলীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, বিশেষ বক্তা ছিলেন বন্দর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন, জুয়েল প্রধান, রানা মুজিব, সাগর প্রধান, জুয়েল রানা, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু সহ অন্যান্যরা।